দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখর মেহেরপুরের ডিসি ইকো পার্ক
ঈদের দিন বিকেল থেকেই দর্শনার্থীর ভিড় বেড়েছে মেহেরপুরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশুরা স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করছেন। ঐতিহাসিক মুজিবনগর কমপ্লেক্স ও আমঝুপি নীলকুঠির পাশাপাশি বিনোদনের নতুন মাত্রা যোগ করেছে গাংনীর ভাটপাড়া নীলকুঠিতে নির্মিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) ইকোপার্ক। জেলার মধ্যে ডিসি পার্কটি বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
ব্রিটিশ আমলে মেহেরপুরের গাংনী শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে কাজলা নদীর পাশে ভাটপাড়া নীলকুঠি স্থাপিত হয়। ১০০ বিঘা জমির ওপর পার্কটি স্থাপিত। নদীর দুই পাড়ে দৃষ্টিনন্দন বাগানের মধ্যে বসার স্থান ও হাঁটার পথ রয়েছে। নীলকুঠিতে রয়েছে ইংরেজদের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থাপনা। কিন্তু সংরক্ষেণর অভাবে তা বিলীন হচ্ছিল। মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে সেখানে ডিসি ইকো পার্ক তৈরি করা হয়েছে। যা এ অঞ্চলের মানুষের বিনোদনের একটি অন্যতম স্থানে পরিণত হয়েছে।

পার্কটিতে রয়েছে পশু-পাখির ভাস্কর্য, দৃষ্টিনন্দন ফুল ও দেশীয় গাছের বাগান, পুকুর। রয়েছে ইংরেজদের শোষণের স্মৃতিচিহ্ন বিজড়িত নীলকুঠির বিভিন্ন স্থাপনা। এসব দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা। নির্মাণাধীন রয়েছে দৃষ্টিনন্দন গেট, পানির ফোয়ারা, লেকের ওভারব্রিজ, শিশুপার্ক, লেক, স্মৃতিসৌধ ও বসার স্থান।পার্কের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ আর নীলকুঠির ইতিহাস জানতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটে আসেন এখানে।
পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী জুলফিকার আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘সারাবছর সময় পাই না। তাছাড়া বাড়ির কাছে এত সুন্দর একটি পার্ক। তাই না এসে থাকতে পারলাম না। ছেলেমেয়েদের নিয়ে বেড়াতে এসেছি। বেশ ভালো লাগছে।’

বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুরতে আসা জিসান বলে, ‘ঈদের আনন্দ করতে বাবা-মায়ের সঙ্গে বেড়াতে এসেছি। পার্কের ভেতরে ঘুরে ঘুরে দেখেছি। নৌকা, নাগরদৌলা ও ঘোড়ায় চড়েছি। সেলফি ও ছবি তুলেছি। খুব মজা করেছি।’
দর্শনার্থী মাহাবুব বলেন, ‘ডিসি ইকো পার্কে অনেক মানুষের সমাগম হয়েছে। কর্মের ব্যস্ততার কারণে এর আগে এখানে আসার সুযোগ হয়নি। আজ এখানে এসে অনেক মজা করেছি বন্ধুদের সঙ্গে।’
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী খানম জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকারি বিরাট এ জায়গায় মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সহযোগিতায় বিনোদন কেন্দ্র করা হয়েছে। পার্কটি এ অঞ্চলের মানুষের কাছে বিনোদনের এক আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পার্কে আনসার ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’
আসিফ ইকবাল/এসআর/এএসএম