দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর পঞ্চগড়ের বিনোদনকেন্দ্র

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পঞ্চগড়
প্রকাশিত: ০৪:৫৮ পিএম, ১২ জুলাই ২০২২

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ঈদের তৃতীয়দিনেও পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে বিভিন্ন পর্যটন স্পট। তবে ঈদ আনন্দ উপভোগের সময় সড়ক দুর্ঘটনাসহ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে মহাসড়কে বিশেষ দায়িত্ব টহল দিচ্ছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১২ জুলাই) তেঁতুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, শিক্ষার্থীসহ সব বয়সী মানুষ দলবেঁধে ছুটে চলেছেন এক স্থান থেকে আরেক স্থানে। ঈদের দিন থেকেই তেঁতুলিয়ার মহানন্দার পাড়, ঐতিহাসিক ডাকবাংলোতে বিনোদনপ্রেমীদের পদচারণা বাড়তে থাকে।

তেঁতুলিয়া উপজেলার রওশনপুরের আনন্দধারা, বিশালাকার সমতলের চা বাগান, বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট, ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তে মহানন্দা নদীর পাড়, মহারাজার দীঘি, জেলা সদরের তালমা রাবার ড্যাম, হিমালয় বিনোদন পার্ক, তুলারডাংগা এলাকার করতোয়া তীরের সোনার বাংলা পার্কসহ সব বিনোদনকেন্দ্রেই দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে।

jagonews24

পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীর তীরের সোনার বাংলা পার্কে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে এসেছেন আমির হোসেন। তিনি বলেন, সবসময় তো অবসর পাওয়া যায় না। তাই ঈদ এলেই ঘুরতে বের হওয়া হয়। এসময় বিনোদনকেন্দ্রগুলোতেও অনেক জনসমাগম হয়। সব মিলিয়ে ভালোই লাগে।

ঐতিহাসিক মহারাজার দীঘির পাড়ে দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ থেকে এসেছেন ফারহান ইশতিয়াক। তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে এখানে এসেছি, বেশ উপভোগ করছি দিনটা। বিশেষ করে এখানকার সমতল ভূমিতে সারি সারি চা বাগানে সবুজের সমারোহ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। এখানকার প্রকৃতি যেন রূপের চাদরে মোড়ানো।

পঞ্চগড় হিমালয় বিনোদন পার্কে সপরিবারে এসেছেন মনির হোসেন। তিনি বলেন, সকাল থেকে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র ঘুরেছি, সবখানেই বেশ উপভোগ করেছি। এখানে এসেও খুব ভালো লাগছে। ঢাকা থেকে বড় আব্বুর বাড়িতে মা-বাবাসহ ঈদ করতে এসেছি।

jagonews24

তেঁতুলিয়া ট্যুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবার ঈদে আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে টুরিস্ট পুলিশ পঞ্চগড় জোন কাজ করছে। জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোতে আমদের টহল অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে আগত পর্যটকরা যাতে হয়রানি বা ইভটিজিংয়ের শিকার না হয়, এজন্য আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।।

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসূফ আলী বলেন, প্রতি ঈদে এখানে শিশু কিশোররা পিকআপ গাড়িতে সাউন্ডবক্স লাগিয়ে বিকট শব্দে গান বাজিয়ে বেপরোয়াভাবে মহাসড়কে ঈদ উৎযাপন করে। বিশেষ করে কিশোর বয়সীরা দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালায়। এবার এমন তৎপরতা কঠোরভাবে দমন করা হয়েছে। আমরা সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েকটি টিম দায়িত্ব পালন করছি। এজন্য হয়তো এখন পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, পবিত্র ঈদের আনন্দ আমরা সবাই ভাগাভাগি করে উৎযাপন করতে চাই। কিন্তু এই আনন্দ উপভোগ করতে গিয়ে অনেকেই বেপরোয়া উয়ে ওঠে। গত ঈদের মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার পর এবার বিশেষ করে উঠতি বয়সের কিশোররা যাতে বেপরোয়া বাইক চালাতে না পারে, সেজন্য আমরা কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছি এবং ব্যাপক প্রচারণাও চালিয়েছি।

সফিকুল আলম/এমআরআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।