এক সড়কের বেহাল দশায় ভোগান্তিতে ২৫ গ্রামের মানুষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মেহেরপুর
প্রকাশিত: ০৭:০৮ পিএম, ০৩ আগস্ট ২০২২

মেহেরপুর-কাথুলি সড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশ যেন এক মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বড় বড় গর্ত আর খানা-খন্দে ভরা। এসব খানা-খন্দে জমে আছে পানি। সড়কটির এ বেহাল দশায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন ২৫ গ্রামের মানুষ।

মেহেরপুর সদর ও গাংনী উপজেলার নিশ্চিন্তপুর, কুতুবপুর, উজুলপুর, কুলবাড়িয়া, চাঁদপুর, শিবপুর, সহোগলপুর, গাঁড়াবাড়িয়া, কাথুলি, তেঁতুলবাড়িয়া, ধলা, খাসমহল, রংমহলসহ আশপাশের প্রায় ২৫টি গ্রামের মানুষ জেলা শহরে আসেন এ রাস্তাটি দিয়ে। এছাড়া এলাকার সবজিসহ অন্যান্য ফসলও জেলা শহরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয় এ পথেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেরপুর শহরের কায়েম কাটার মোড় থেকে গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তী কাথুলি মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি ভাঙাচোরা ও খানা-খন্দে ভরা। রাস্তার কোনো কোনো জায়গায় হাঁস চড়তে দেখা যায়। কোনো জায়গায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কের সেসব গর্তে এবং কুলবাড়িয়া ও গাঁড়াবাড়িয়া বাজারে জমে আছে পানি।

jagonews24

ধলা গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম ও রফিকুল বলেন, ‘আমরা কৃষিপণ্য নিয়ে মেহেরপুর বাজারে আসি। এ ১০ কিলোমিটার রাস্তা চলতে গিয়ে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যায়। বৃষ্টি হলে রাস্তায় হাঁটুপানি জমে। এ রাস্তায় চলাচলে আমাদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না।’

পিকআপ চালক রাফিউল ইসলাম বলেন, ‘এ সড়কের সম্পূর্ণ অংশই খারাপ। ভাঙাচোরা রাস্তায় যাওয়া-আসার ফলে গাড়ির বল-বিয়ারিংসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রাস্তা খারাপ হওয়ায় কোনো অসুস্থ মানুষ গাড়িতেই উঠতে চান না। ১৫ সিটের গাড়িতে ১০ জন নিলেই যাত্রীরা ঝগড়া লাগিয়ে দেন।’

সহগলপুর গ্রামের বাসিন্দা রহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে থাকলেও দেখার কেউ যেন নেই। মাঝে মধ্যে সড়ক ও জনপথের লোকজন সংস্কারের জন্য মাপজোক করে যান। কিন্তু রাস্তা মেরামতের কোনো লক্ষণ আমরা দেখছি না।’

চাঁদপুর গ্রামের গ্রামের কৃষক মিলন হোসেন ও সাইদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের গ্রাম কৃষিনির্ভর। এখানকার সবজি ট্রাক লোড হয়ে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। অথচ রাস্তাটির কারণে কোনো ট্রাক এখানে আসতে চায় না। রাস্তাঘাট ভাঙাচোরার কারণে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করেন তারা।’

jagonews24

বগুড়া থেকে সবজি নিতে আসা ব্যবসায়ী রুমন হোসেন বলেন, ‘মেহেরপুর-কাথুলি রাস্তাটির কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছি। রাস্তার খারাপ অবস্থার কারণে বাইরে থেকে এখানে গাড়ি আসতে চায় না। এলেও বাড়তি ভাড়া দাবি করে।’

এ বিষয়ে মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘মেহেরপুর-কাথুলি রাস্তাটির অবস্থা এখন খুবই খারাপ। রাস্তাটিতে ছোটখাটো সংস্কার করলেও টেকানো যাবে না। এখানে বড় ধরনের সংস্কার কাজ করতে হবে। প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে রাস্তাটির সংস্কার কাজ করা হবে।’

আসিফ ইকবাল/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।