জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় কেউ মারা যায়নি, মরবেও না: পরিকল্পনামন্ত্রী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সুনামগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৪:১০ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২২
সুনামগঞ্জে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থায় যাবে না বলে দাবি করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় কেউ মারা যায়নি, আশা করি মরবেও না।

বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ‘বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম’ পাইলট প্রকল্পের উপকারভোগীদের মধ্যে ঋণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একটি কুচক্রী মহল তিন মাস আগে থেকে বলছে, দেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। এসব কথা আমলে নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না, দেশ শ্রীলঙ্কা হবে না। শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও সুযোগ্য নেতৃত্বে আমরা সব কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এগুচ্ছি। আর মাত্র এক মাস, আমরা আগের অবস্থানেই ফিরে যাব।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের আসা যাওয়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এই সংকট আমেরিকা-রাশিয়ার তৈরি। অথচ একটি মহল আমাদের দোষারোপ করে ফায়দা নেওয়ার অপচেষ্টায় আছে। সামনে নির্বাচন আসছে, বন্ধু-শত্রু আপনারাই বাছাই করবেন। বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, সার, বীজ বিনামূল্যে আওয়ামী লীগ সরকারই গ্রামের মানুষকে দিচ্ছে। এগুলো বিবেচনা করার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি।

jagonews24

এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশকে গোলামী থেকে মুক্ত করে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। কিছু মানুষ আছে, আমাদের পছন্দ করে না। দেশের বিরুদ্ধে কথা বলে। তারা বলছে- জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, মানুষ মরে যাবে। এসব কথায় কান না দেওয়ার অনুরোধ করে মন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ার বিষয়টি অস্বীকার করবো না। কিন্তু এখনো কেউ জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় মারা যায়নি, আশা করি মরবে না। মন্ত্রী উপস্থিত সবাইকে নিজেদের সন্তানদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করার আহ্বান জানান।

শান্তিগঞ্জ উপজেলা সমবায় অফিসার মো. মাসহুদ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- শান্তিগঞ্জ উপজেলার বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম সমবায় সমিতির সভাপতি প্রভাষক নূর হোসেন, সমবায় অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মৃণাল কান্তি বিশ্বাস প্রমুখ।

লিপসন আহমেদ/এমআরআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।