স্কুলশিক্ষক হত্যা: তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ০৩:২৭ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২২
আদালথ প্রাঙ্গণে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্কুলশিক্ষক খান মো. আলাউদ্দীন হত্যা মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে ঝিনাইদহের দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নাজিমুদ্দৌলা এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শৈলকুপা উপজেলার শিতলী গ্রামের রান্নু খাঁন, একই গ্রামের জামাল খান ও কানু খাঁন। মামলায় আসামি শামছুর রহমান খাঁনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মামলার অপর তিন আসামী চান্নু খাঁন, জাফন খাঁন ও সাদী খাঁনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।

মামলার বিবরণে জানা যায়, শৈলকুপার শিতলী গ্রামের শারমিন নাহারের সঙ্গে সুপারি গাছের মালিকানা নিয়ে রান্নু খানের বিরোধ তৈরি হয়। এরই জেরে ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সকালে আসামিরা শারমিনের বাড়িতে গিয়ে তাকে ও তার স্বামী রিপন আলী খাঁনকে মারধর শুরু করেন। সেসময় তাদের চাচা খাঁন মো. আলাউদ্দিন তাদের রক্ষা করতে গেলে তাকে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে যান আসামিরা। এসময় প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখান থেকে চিকিৎসকরা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য হলে ঢাকায় পাঠানো হয়।

ঢাকা নেওয়ার পথে আলাউদ্দীন মারা যান। এ ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী মোছা. শিউলী খাতুন বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন। সেই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আদালত। মামলার বাকি তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

মামলার রায় ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত নিহতের ছেলে রাশিদুল ইসলাম রাশেদ খাঁন বলেন, আমাদের চোখের সামনেই আমার বাবাকে ওই সাতজন পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। রায়ে আমরা খুশি। তবে মামলার তিন আসামিকে খালাস দেওয়ায় কিছুটা হতাশ হয়েছি। তাদের শাস্তির জন্য পুনরায় উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. ইসমাইল হোসেন বাদশা বলেন, দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। তবে আদালতের কাছে দ্রুত রায় কার্যকরের আশা করছি।

আবাদুল্লাহ আল মাসুদ/এমআরআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।