স্ত্রী-সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নীলফামারী
প্রকাশিত: ০৭:১১ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২২
স্ত্রী-সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়

নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী-সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার পর নিজের পেট কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন জিয়াউর রহমান জিয়া নামের এক ব্যক্তি।

বুধবার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার বোড়াগাড়ি নিমোজ খানা নয়ানি বাগডাগরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জিয়ার শাশুড়ি বিলকিস বেগম ও তার ১৪ দিনের শিশু ইয়াসিন আহত হয়।

জিয়াউর রহমান ওই ইউনিয়নের চান্দিনা পাড়া এলাকার শমারু মাহমুদের ছেলে। নিহতরা হলেন, জিয়াউরের স্ত্রী রতনা বেগম (২৫) ও তার তিন বছরের মেয়ে ইয়াছমিন।

jagonews24

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে স্বামী জিয়ারুলের সঙ্গে তার স্ত্রী রত্না বেগমের পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া লাগে। এক পর্যায়ে রত্না মেয়ে ইয়াছমিনকে নিয়ে বাড়ির বাইরে চলে আসেন। রত্নার মা বিলকিস বেগম তার ১৪ দিন বয়সী নাতিকে কোলে নিয়ে বাড়ির বাইরে আসেন।

এ সময় জিয়ারুল ছুরি হাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে তার শাশুড়ির কোলে থাকা শিশু সন্তানকে আঘাত করে পাশের ক্ষেতে ফেলে দেন। এরপর ইয়াছমিনকে কুপিয়ে হত্যার পর স্ত্রীকে কোপাতে থাকেন। মৃত্যু নিশ্চিত হলে জিয়ারুল নিজেই নিজের পেট কেটে আহত হন।

jagonews24

স্থানীয়রা এসে জিয়া, তার শাশুড়ি ও তার ১৪ বছরের ছেলেকে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে জিয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নীলফামারীর পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘাতক জিয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সে যেন পালাতে না পারে এ জন্য একটি পুলিশের টিম সেখানে দেওয়া হয়েছে।

এসজে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।