মির্জাপুরে ৩ সন্তানের জননীর মরদেহ উদ্ধার, সাবেক স্বামীসহ আটক ২

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
প্রকাশিত: ০৮:১০ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
সখিনা বেগমের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বজনদের আহাজারি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সখিনা বেগম (৪২) নামে তিন সন্তানের জননীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই নারীর সাবেক স্বামীসহ দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বাঁশতৈল পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আটকরা হলেন- সখিনার সাবেক স্বামী বাঁশতৈল গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মফিজুর রহমান এবং একই গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে লেবু মিয়া।

পুলিশ জানায়, পাঁচ বছর আগে ওই নারীর সঙ্গে স্বামীর বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে তিনি একই গ্রামে আলাদা বাড়ি তৈরি করে দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতেন। এর মাঝে মেয়েদের বিয়ে হওয়াতে প্রবাসী ছেলের বউকে নিয়ে ওই বড়িতে থাকতেন তিনি। ছেলের বউ বাড়িতে না থাকায় রোববার রাতে সখিনা বেগম বাড়িতে একা ছিলেন। সোমবার অনেক বেলা হলেও সখিনাকে না দেখতে পেয়ে পাশের বাড়ির লোকজন খোঁজ করতে ওই বাড়িতে আসেন। পরে ঘরের ভেতর তার মরদেহ দেখতে পেয়ে বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সখিনার গলায় রশির দাগ এবং গলার ডান পাশে কালো দাগ আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সখিনার মা আকিরন বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। ওরে মারা হইছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

স্থানীরা জানায়, ছেলের বউ বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় রোববার রাতে সখিনা বাড়িতে একা ছিলেন। এই সুযোগে হয়তো কেউ তাকে হত্যা করতে পারে।

বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গলায় রশির দাগ ও গলার ডান পাশে কালো দাগ রয়েছে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এ ঘটনায় ওই নারীর সাবেক স্বামীসহ দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

এস এম এরশাদ/এমআরআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।