পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন

চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজকে হত্যার হুমকির অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ১০:২৩ এএম, ১১ অক্টোবর ২০২২
ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান

পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমানকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১১ অক্টোবর) পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। দুটি চিঠিতে অভিযোগের পাশাপাশি নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশি সহযোগিতারও আবেদন করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, হাফিজুর রহমান নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আনারস প্রতীকের (আওয়ামী লীগ সমর্থিত) খলিলুর রহমান মোহন এবং তার সন্ত্রাসীরা হাফিজুর রহমানকে হত্যাসহ তার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের হুমকি দিয়ে আসছেন।

৬ অক্টোবর বাউফল পৌরসভা মাঠে নির্বাচনী সভায় আনারস প্রতীকের প্রার্থী তার বক্তব্যে হাফিজুর রহমানকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেন এবং নির্বাচনের পরে কীভাবে এলাকায় থাকে সে বিষয়ে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন। এ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি ভিডিও অভিযোগপত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।

অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান বলেন, ‘শুরুর দিকে নির্বাচনী পরিবেশ ভালো থাকলেও দিন যত এগিয়ে আসছে ততই পরিবেশ বিনষ্ট করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নিজে এবং তার কর্মী সমর্থকরা বিভিন্ন এলাকায় আমার পোস্টার, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলছে। এ ছাড়া নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মুহিব নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশিত হলেও নির্বাচন কমিশন কিংবা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এখন আমাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য তারা পরিকল্পনা করছে। আমি এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দুটি লিখিত আবেদন করেছি।’

অভিযোগের বিষয়ে আনারস প্রতীকের প্রার্থী খলিলুর রহমান মোহন বলেন, ‘এসব অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহম্মদ কামাল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে সাতজন এবং সাধারণ আসনে ২৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনে মোট ১০৮৩ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ১৭ অক্টোবর জেলার ৮ উপজেলার আট কেন্দ্রে ভোট হবে।

আব্দুস সালাম আরিফ/এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।