পিরোজপুরে জমে উঠেছে পুরোনো শীতবস্ত্রের দোকান

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পিরোজপুর
প্রকাশিত: ০৯:৩৫ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০২২

কার্তিকের শেষ, এরই মধ্যে পড়তে শুরু করছে শীত। রাত বাড়ার পর অল্প হলেও ভোরে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। কুয়াশায় মোড়ানো ভোর, শিশির ভেজা সকাল ও হালকা শীতল বাতাস আভাস দিচ্ছে শীতের আগমনীর। তাই শীতের শুরুতেই জমে উঠেছে পিরোজপুরের পুরোনো শীতবস্ত্রের দোকানগুলো।

অনেকের ধারণা খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষজন শীত নিবারণে গরম কাপড় খোঁজে এসব পুরনো কাপড়ের দোকানগুলোতে। তবে শুধু সীমিত আয়ের মানুষজনই নয় বরং বিপণীবিতানগুলোর চেয়ে এসব পুরোনো গরম কাপড়ের দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় এবং কাপড়ের মান ভালো হওয়ায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের সরগরম উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পিরোজপুর শহরের পোস্ট অফিস সড়কের টাউন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে, শহরের পুরাতন ঈদগাহ, সাইকেল পট্টি, শহিদ মিনারের সামনে সারি সারি পুরোনো শীতবস্ত্রের দোকান সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। শীতকে ঘিরে এসব দোকানগুলোতে বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

jagonews24

শীত থেকে রক্ষা পেতে সাধ্যের মধ্যে ক্রেতারা পছন্দসই কাপড় স্তূপ থেকে খুঁজে নিচ্ছেন। অভিজাত দোকানগুলোতেও গরম কাপড়ের চাহিদা এখন অনেক বেশি। তবে বেশি ভিড় দেখা যায় পুরোনো শীতবস্ত্রের এই দোকানগুলোতে।

শহরের পোস্ট অফিস সড়কের শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে কাপড় খুঁজছিলেন ফাহিমা বেগম। তিনি বলেন, এবার আগে থেকেই শীত অনুভূত হচ্ছে। তাই মেয়েকে নিয়ে শীতের গরম কাপড় কিনতে এসেছি। মেয়েকে বলেছি স্তূপ থেকে পছন্দের কাপড় খুঁজে নিতে। আমিও খুঁজছি নিজের জন্য। এখানে খুব কম টাকায় ভালো জিনিস পাওয়া যায়।’

মুহিদুল ইসলাম নামে এক মৌসুমি বিক্রেতা জানান, কয়েক দিন ধরে প্রায় সব দোকানেই কমবেশি শীতের কাপড় কেনাবেচা শুরু হয়ে গেছে। শীতের শুরুতে বেশ ভালোই বেচাকেনা চলছে। আমরা এসব দোকানে কম দামে বিদেশি পুরোনো গরম কাপড় বিক্রি করছি। তাই ক্রেতারাও বেশ আগ্রহ নিয়ে কেনাকাটা করছে।

jagonews24

রিয়াদ হাওলাদার নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘দিনের তুলনায় রাতে ও ভোরে বেশি শীত পড়ে। তাই আজকে হালকা গরম কাপড় কিনলাম। দামটা একটু বেশি নিচ্ছে। আর কয়েকদিন পর আরও বেশি আমদানি হলে দাম আরও কমবে। তখন পরিবারের সব সদস্যের জন্য কেনাকাটা করবো।’

হেমায়েত হোসেন নামে এক বিক্রেতা বলেন, ‘মান ভেদে ৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে শীতের কাপড়ের লট কিনে আনি চট্টগ্রাম থেকে। মূলত তাইওয়ান, কোরিয়া এবং জাপান থেকে এসব লট আসে। কম্বল, বাচ্চাদের ও বড়দের কাপড় আলাদাভাবে পাওয়া যায়। লটগুলো খুলে দিলে ক্রেতারা নিজেদের মতো করে কাপড় বেছে নেন। লটের মানভেদে এসব কাপড়ের দাম রাখা হয়।’

শীতবস্ত্রের পাশাপাশি বেচাকেনা বেড়েছে কম্বলেরও। পৌর শহরের শহিদ মিনারের সামনের দোকানে কম্বল কিনতে এসেছেন সোমা মন্ডল। তিনি বলেন, ‘৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকার কম্বল পাওয়া যায় এসব দোকানে। শীত বেড়েছে তাই কম্বল কিনতে এসেছি। এসব দোকানে বেশ ভালো মানেরই কম্বল পাওয়া যায়। তাই ছেলের জন্য একটি কম্বল কিনবো।’

এসজে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।