লালমনিরহাটে নির্বাচনী সহিংসতায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আহত ২০

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সির্ন্দুনা ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে সহিংসতায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত থেকে রোববার (১৯ ডিসেম্বর) রাত পর্যন্ত দফায় দফায় এ সহিংসতা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নুরল আমিন (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুল ইসলাম আরিফ (আনারস) ও জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী তৌহিদ হাসান খান মুকুল (লাঙ্গল)।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুল ইসলাম আরিফের অভিযোগ, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরল আমিনের লোকজন। শনিবার ও রোববার রাতে তার ছেলে সিয়ামসহ ২০-২৫ জন আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার চার সমর্থক আহত হন। এ সময় একটি বসতবাড়িও ভাঙচুর করা হয়।’
আরিফ আরও বলেন, ‘রোববার রাতে আবারও নুরল আমিনের লোকজন হামলা চালায়। এতে আমিসহ বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হন। আমিসহ আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি আছি।’
এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরল আমিন। তার দাবি, ‘রোববার রাতে পরিকল্পিতভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমিসহ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’
হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আনারুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তবে কারো অবস্থা গুরুতর নয়। তাদের চিকিৎসা চলছে।
নির্বাচনী সহিংসতায় অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, দুই গ্রুপই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিউল হাসান/এসজে/এএসএম