টানা ছুটিতে পর্যটকে টইটম্বুর কুয়াকাটা

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
প্রকাশিত: ০৭:৪১ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২২

টানা তিনদিনের ছুটিতে হাজার হাজার পর্যটকে টইটম্বুর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আগমন ঘটে বিভিন্ন ধর্ম ও পেশার ভ্রমণ পিপাসু মানুষের।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সৈকত ঘুরে দেখা যায়, লেম্বুরবন বন থেকে ঝাউবন পয়েন্ট পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সৈকত কাণায় কাণায় পূর্ণ পর্যটকে। ব্যস্ত সময় পার করছেন হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, মার্কেটসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসায়ীরা।

আবাসিক হোটেলগুলো শতভাগ বুকিং রয়েছে। অনেক পর্যটক আগে বুকিং না দিয়ে আসায় কুয়াকাটা সৈকতের লাগোয়া বাসাবাড়িতেও আশ্রয় নিয়েছেন। আবার চাহিদামতো রুম না পেয়ে সারাদিন ঘোরাঘুরি করে রাতে গন্তব্যে ফিরছেন কেউ কেউ।

বরিশাল থেকে আসা লাবিব নামের এক পর্যটক বলেন, এর আগেও কুয়াকাটায় এসেছি। আগে রুম বুকিং দিয়ে কখনো আসিনি। তবে এবার এসে রুম না পেয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হলো। তাই সারাদিন ঘোরাঘুরি করেছি রাতে টিকিট করে রেখেছি বাড়িতে চলে যাবো। থাকতে চাইলেও এখন থাকা হচ্ছে না।

খুলনা থেকে আগত তপন কুমার দাস নামের এক পর্যটক জাগো নিউজকে বলেন, গতকাল কুয়াকাটায় এসেছি পরিবার নিয়ে। আগামী কালও থাকবো। বেশ আনন্দ উল্লাস করেছি, শুটকি মার্কেট, লাল কাঁকড়ার চর, তিন নদীর মোহনাসহ সব জায়গায় ঘোরাঘুরি শেষ করেছি। তবে কুয়াকাটাকে আরো উন্নত করা দরকার।

গ্রিন ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন রাজু জানান, আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন ও শুক্রবারসহ তিনদিনের বন্ধে হাজার হাজার পর্যটক কুয়াকাটায় এসেছে। আশা করছি এখন থেকে পুরো মৌসুম জুড়ে পর্যটকদের আগমনে সরগরম থাকবে কুয়াকাটা।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জাগো নিউজকে জানান, দেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া রাখার যে অভিযোগ সেটা কুয়াকাটায় নেই। হোটেলের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক সময় কম দামে ভাড়া দেওয়া হয়। তবে ছুটিরদিনগুলোতে ডিসকাউন্ট দেয়া হয় না।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক জাগো নিউজকে জানান, বড়দিন উপলক্ষে কুয়াকাটায় হাজার হাজার পর্যটক, তাই আমাদের বিভিন্ন টিম বিভক্ত হয়ে পুরো সৈকতে টহল দিচ্ছে। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সহযোগিতার ব্যাপারে সার্বক্ষণিক তদারকি করছি।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।