শীত জেঁকে বসতেই চুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে ডায়রিয়া
শীত জেঁকে বসতেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে চলেছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত সাতদিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ২৭০ জন রোগী। এদের মধ্যে শিশু ১৫৪ জন। ডায়রিয়ার পাশাপাশি শিশু ওয়ার্ডে নিউমোনিয়া রোগীর চাপও বেড়েছে। শিশু ওয়ার্ডে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪১ জন রোগী। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ছয়জন।

সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন ৪১ জন রোগী। এদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী।

হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের নির্ধারিত ডায়রিয়ার ওয়ার্ডে রোগীর স্থান সংকুলান না হওয়ায় করিডোরের মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা চলছে শিশু তাবাসসুমের। তার স্বজনরা জানান, গত দুদিন ধরে পাতলা পায়খানা আর বমি হচ্ছিল তাবাসসুমের। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে পরামর্শ দিয়ে হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়ার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে হলে নিরাপদ পানি পান করা সবচেয়ে জরুরি। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সচেতন হলে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আতাউর রহমান জানান, ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের জন্য হাসপাতালে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইনসহ যাবতীয় ওষুধ সাপ্লাই আছে। তবে ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এসআর/জেআইএম