নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে মিললো মাদরাসাছাত্রের মরদেহ
নড়াইল সদর উপজেলায় নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংক থেকে আবদুল্লাহ গাজী (১০) নামের এক মাদরাসাছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোরে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। আবদুল্লাহ
উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম সরকেলডাঙ্গা হাসানিয়া কওমী মাদরাসার কেরাত
বিভাগের ছাত্র ছিল। সে কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ী ইউনিয়নের চাঁচুড়ী গ্রামের ইনছান গাজীর ছেলে।
মাদরাসা সূত্রে জানা গেছে, আবদুল্লাহ এশার নামাজ জামাতে শেষ করে প্রতিবেশী এক বাড়িতে রাতের খাবার খেতে যায়। কিন্তু রাত ১০টায়ও ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। এক পর্যায়ে এতিমখানার নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকের তার মরদেহ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে মাদরাসার নূরানি শিক্ষক মাওলানা মহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্ররা আমার কাছে এসে জানায় রাতের খাবার খেয়ে আবদুল্লাহ আসেনি। তারপর তাকে খুঁজতে মাদরাসা থেকে ২০ গজ
পশ্চিমে নির্মাণাধীন একটি ট্যাংকের মধ্যে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে যাই। শনিবার ভোরে ওই ছাত্রের মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। তার শরীরে সামান্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে তা কাউকে মেরে ফেলার জন্য যথেষ্ট নয়। তার ময়নাতদন্ত হয়েছে। রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাফিজুল নিলু/এসজে/জিকেএস