ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো বেয়ে ফাতরার বনে যেতে হয় পর্যটকদের

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
প্রকাশিত: ০৯:৪২ এএম, ১৬ জানুয়ারি ২০২৩

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আসা পর্যটকরা সকাল-সন্ধ্যা ঘুরে বেড়ান বিভিন্ন পর্যটন স্পটে। এরমধ্যে টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চল (ফাতরার বন) অন্যতম। এ বনে যেতে হলে সৈকত থেকে স্পিডবোট, ট্যুরিস্ট বোটসহ বিভিন্নভাবে যেতে হয়। তবে আন্ধারমানিক নদী পাড়ি দিয়ে গৌয়মতলা খালের পাশ দিয়ে প্রবেশ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাঠ ও বাঁশে সাঁকো ব্যবহার করে আসছে বনবিভাগ।

সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে বনে প্রবেশ না করে সমুদ্র দিয়েই চলে যান অনেক পর্যটক। তাই পর্যটক, স্থানীয় ও পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবি এখানে টেকসই একটি জেটি নির্মাণ করা হোক।

jagonews24

আরও পড়ুন: টেংরাগিরি বা ফাতরার বনে একদিন

ঢাকা থেকে ফাতরার বন ভ্রমণে যাওয়া রানা মোহাম্মদ সোহেল জাগো নিউজকে বলেন, পরিবারের ছোট-বড় সবাই কুয়াকাটায় এসেছি। কুয়াকাটা থেকে এ স্পটটিতে আসতে আমাদের এক ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। এখানে এসে দেখি কাঠের একটি ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো যা দিয়ে বয়স্কদের উঠাতে পারিনি। তাই অর্ধেক লোক বোটে রেখে আমরা ঘোরাঘুরি করেছি। এ

লামিয়া নামের এক পর্যটক বলেন, এত সুন্দর একটি জায়গায় যদি নড়বড়ে একটি সাঁকো দিয়ে রাখা হয় তাহলে একাধিকবার কেউ আসবে না। তাই এগুলো আরও সুন্দর করা প্রয়োজন।

jagonews24

আন্ধারমানিক ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএম বাচ্চু জাগো নিউজকে বলেন, কুয়াকাটা বেড়াতে আসা পর্যটকদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যটক সাইড ট্যুর হিসাবে ফাতরার বনে যান। কিন্তু আমাদের বোটগুলোতে যাতায়াত, বনে বিচরণ, সমুদ্র উপভোগ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও প্রবেশ পথে টেকসই জেটির অভাবে পর্যটকরা অসন্তুষ্ট হন। ওখানে চাপ সামাল দেওয়া ও নিরাপদে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য অন্তত তিনটি বড় জেটির প্রয়োজন।

আরও পড়ুন: কুয়াকাটা : সময় যেখানে স্বপ্নমাখা

সাহিন নামের এক বোট চালক বলেন, প্রবেশ ফি হিসেবে পর্যটকপ্রতি সরকারকে আমরা ১১ টাকা ৫০ পয়সা দিয়ে থাকি। এখানে পর্যটকদের বিনোদনের জন্য বন্যপ্রাণী থাকার কথা। ভালো একটি জেটি, রাস্তা, বেইলি ব্রিজ কিছুই নেই। পর্যটকরা এসে হতাশ হয়ে ফিরে যান। তাহলে এত সুন্দর বনটি ভ্রমণস্পট হিসাবে আর মানুষ চিনবে না।

jagonews24

পটুয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন জাগো নিউজকে বলেন, পর্যটকদের সুবিধার্থে আমরা ইতোমধ্যে একটি মজবুত সিঁড়ি ও ভিতরের রাস্তার কাজ হাতে নিয়েছি শিগগির কাজ শুরু হবে। তবে টেকসই জেটিসহ ওই স্পটকে আরও নান্দনিক করতে ইতোমধ্যে একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।