সড়কের পাশে ময়লার স্তূপ, আগুন দিয়ে বর্জ্য কমাচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ১০:৫২ এএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩

ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশেই নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা ফেলছে কলাপাড়া পৌরসভা। আর ময়লার স্তূপে থাকা দাহ্য পদার্থগুলো পুড়িয়ে আবর্জনা কমিয়ে ফেলতে প্রতিদিন আগুন দেওয়া হচ্ছে। এতে করে আশপাশের পরিবেশ যেমন বিষাক্ত হয়ে উঠছে তেমনি ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কটিও দিনদিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটাগামী সড়কের কলাপাড়া উপজেলার পায়রা সমুদ্র বন্দরের ফোরলেন সড়ক অতিক্রম করে কিছুটা সামনে গেলেই রাস্তার পশ্চিমপাশে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। আর সেখানেই দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। বাতাসে আগুনের ফুলকি আর ধোঁয়া সরাসরি চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে কালো ধোঁয়ায় মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলোর গতি থামিয়ে দিতে বাধ্য করছে। আর প্লাস্টিক সামগ্রী পুড়ে তা মহাসড়কের দিকেও উড়ে আসছে।

jagonews24

স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই ময়লার স্তূপে আগুন দিয়ে আবর্জনা কমানোর চেষ্টা করছে কলাপাড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।

পটুয়াখালী-কলাপাড়া সড়কে চলাচলকারী বাসচালক আনোয়ার মৃধা বলেন, এই এলাকা দিয়ে যেতে এখন যেমন তীব্র দুর্গন্ধ হচ্ছে তেমনি আগুন দেওয়ার কারণে অনেক সময় আগুনের ফুলকি এসে সড়কে পড়ছে। ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।

jagonews24

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র বিপুল হালদার বলেন, ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য আমাদের নিজস্ব কোনো ডাম্পিং জোন নেই। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই এখানে ফেলতে হচ্ছে। আর ময়লা আবর্জনা ক্রাশ করার জন্য এতে আগুন দেওয়া হয়।

সড়কে আগুনের ফুলকি এবং ধোঁয়ার বিষয়ে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।

jagonews24

পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটক বেড়েছে। এছাড়া কলাপাড়া পায়রা সমুদ্র বন্দর এবং তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দেশি-বিদেশি মানুষের আগমন ঘটছে। এসব কারণে এ সড়কে বর্তমানে যানবাহনের চাপও বেশি। তবে পরিবেশ ও প্রতিবেশ ঠিক রাখতে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আব্দুস সালাম আরিফ/এমআরআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।