কক্সবাজার কাঠ মার্কেট থেকে সামাজিক বনায়নের গাছ জব্দ
![কক্সবাজার কাঠ মার্কেট থেকে সামাজিক বনায়নের গাছ জব্দ](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/cc-1-20230120084829.jpg)
কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের রামুর মিঠাছড়িতে অভিযান চালিয়ে সামাজিক বনায়ন থেকে কেটে আনা বিপুল পরিমাণ চারা গাছ জব্দ করেছে বন বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মিঠাছড়ি ইউনিয়নের কাঠিরমাথায় গড়ে উঠা অবৈধ কাঠের মার্কেটে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় গাছ চোর চক্র পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি। কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষিশ্রমিকের মৃত্যু
রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে অভিযোগ আসছিল সামাজিক বনায়নের আকাশ মনি বাগানের চারাগাছ কেটে ওপেন বাজারে বিক্রি করছে একটি অসাধু চক্র। খবর পেয়ে সিভিল পোশাকে বিভিন্ন হাটে তদারকি বাড়ায় বনকর্মীরা। সেখানেই নানাভাবে খবর পাওয়া যায়, এলাকাভিত্তিক প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এসব গাছ কাঁটার পর বাজারে তোলা হচ্ছে। এলাকার লোকজন ঘরবাড়ি মেরামত ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘর তৈরিতে ব্যবহারের জন্য এসব চারাগাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। স্বল্প সংখ্যক বনকর্মী বাগান এলাকা পাহারা দিলেও রাতের আঁধারে চোর চক্র গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছিল। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে মিঠাছড়ি কাঠিরমাথা এলাকার কাঠের মার্কেটটিতে বিপুল পরিমাণ কাঠ মজুদ হয় জেনে অভিযান চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি জানিয়ে রামু উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সহযোগিতা চাইলে তিনি উপস্থিত হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজিবি, আনসার ও বন বিভাগের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান চালান। অভিযানে কাঠিরমাথায় অবৈধভাবে সামাজিক বনায়নের ছোটগাছ বিক্রির জন্য গড়ে উঠা বাজার গুড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি বাজারে মজুত করা গাছ জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বন মামলার প্রক্রিয়া চলমান।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ২০ স্বর্ণের বারসহ যুবক গ্রেফতার
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সরোয়ার আলম বলেন, বন ও প্রকৃতি মানুষের সুষ্ঠুভাবে বাঁচার মূখ্য হাতিয়ার। সেই বনই মানুষ নির্বিচারে ধ্বংস করতে দ্বিধা করছে না। স্বল্প সংখ্যক বনকর্মী দিয়ে বন ও বাগান রক্ষা কষ্টসাধ্য হওয়ায় সামাজিক বনায়ন উপকারভোগী সৃষ্টিকরার পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়েছে। এরপরও বন বাগান রক্ষা না হওয়া বড় দুঃখজনক। অভিযান চালিয়ে গাছ খেকোদের আইনের আওতায় আনার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সায়ীদ আলমগীর/জেএস/জিকেএস