আদালতে স্বীকারোক্তি

চড়-থাপ্পড়ের প্রতিশোধেই খুন হন কনস্টেবল জাহাঙ্গীর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি হবিগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৭:০৫ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
গ্রেফতার পুলক দাশ

মাদক সেবনে বাধা দেওয়া এবং চড়-থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতেই নৌ-পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যা করা হয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য জানিয়েছেন হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার পুলক দাশ।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলামের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার কাদিরগঞ্জ গ্রামের ক্ষীর মোহন দাশের ছেলে পুলক দাশ (২৮) মাদকসেবী। ঘটনার আগের দিন (রোববার) তাকে মাদক সেবনে বাধা দেন মার্কুলি নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম। এসময় তাকে শাসন করে কয়েকটি চড়-থাপ্পড়ও দেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ নিতে গিয়ে জাহাঙ্গীরকে খুন করেন পুলক।

পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ৯টার দিকে প্রতিদিনের মতো সহকর্মীদের নিয়ে মার্কুলি বাজারে যান কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম। সেখানে একটি দোকানে তিনি কথা বলার সময় আকস্মিক হামলা চালান পুলক দাশ। এতে গুরুতর জখম হন জাহাঙ্গীর। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক রাত ১২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে এবং ওসি অজয় কুমার দেবসহ পুলিশের কর্মকর্তারা। সেখানে অভিযান চালিয়ে রাতেই পুলক দাশকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সেইসঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। সেখানে স্পষ্ট দেখা যায়, পুলক দাশ ক্ষিপ্ত হয়ে কনস্টেবল জাহাঙ্গীরকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করছেন। গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার তাকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে পুলক হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। পরবর্তীকালে বুধবার তাকে আদালতে তোলা হলে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এমআরআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।