থানায় অভিযোগ দেওয়ায় গৃহবধূর ওপর হামলা, মালামাল লুট

পূর্বশত্রুতার জেরে দুজনের বাগবিতণ্ডা। একপর্যায়ে হাতাহাতি। এ নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করার কারণে হামলা চালিয়ে এক গৃহবধূকে গুরুতর আহত ও তার বাড়িতে লুটতরাজের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের জাহেদপুর গ্রামের।
এ ঘটনায় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সাতজনকে আসামি করে ওই গৃহবধূর স্বামী রেন্টু আলী শেখ (৪০) থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর ৪।
আহত গৃহবধূ অঞ্জনা খাতুন (৩৫) বর্তমানে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার মাথায়, মুখে ও শরীরের একাধিক স্থানে ক্ষত চিহৃ রয়েছে।
আসামিরা হলেন একই এলাকার উকিল শেখের ছেলে সোহান হোসেন (২৭), মৃত কেছমত শেখের ছেলে কোরবান (৪৫), শেখ মতলেব শেখের ছেলে বিপুল শেখ ( ২৬), দাউদ শেখের ছেলে জাহিদ শেখ (২৫), আসাদুল শেখের ছেলে জয় (২০), কোরবান শেখের ছেলে বাপ্পি ( ২৩) ও ফজুল শেখের ছেলে মিজান (২৬)। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক।
এ বিষয়ে মামলার বাদী রেন্টু আলী শেখ বলেন, প্রায় দুইমাস আগে জমির ধানকাটা নিয়ে এলাকার উকিল শেখের সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল। সে ঘটনা এলাকায় সালিশ বৈঠকে মিটমাট করে তিনি ব্যবসায়িক কাজে মাদারীপুর গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে তিনি বাড়ি ফেরেন। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উকিল শেখের ছেলে সোহান হোসেনের সঙ্গে স্থানীয় এক মুদিদোকানির বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়।
পরে রাতেই তিনি বিষয়টি থানায় জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আসামিরা রেন্টু আলীর বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ আক্রমণ চালিয়ে তার স্ত্রীকে গুরুতর আহত করেন। একই সঙ্গে নগদ টাকাসহ মালামাল লুটপাট করে চলে যান। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক।
এ বিষয়ে ওই এলাকার নাসিরের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন বলেন, জমির ধানকাটা নিয়ে তাদের বিরোধ চলছিল। এ নিয়েই মাঝেমধ্যে তাদের তর্কবিতর্ক হতো। এবার রক্তপাতের ঘটনা ঘটেছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মোহসীন হোসাইন বলেন, বিরোধের জেরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। গৃহবধূর স্বামী থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
আল-মামুন সাগর/এসআর/এমএস