কলেজে শিক্ষার্থী তিনজন, এবারও তিনজনই ফেল

নেত্রকোনার কলমাকান্দা মহিলা কলেজ থেকে এবার তিনজন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই ফেল করেছেন। গতবছরও ওই তিনজন শিক্ষার্থী একই প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফেল করেন। কলমাকান্দা মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মো. হারুন অর রশিদ বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মহিলা কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে কলমাকান্দা শহরে ধানমহাল এলাকায় কলমাকান্দা মহিলা কলেজ নামে এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা মো. হারুন অর রশিদ। কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন প্রতিষ্ঠাতা হারুন অর রশিদের স্ত্রী সেলিনা আক্তার। কলেজে অধ্যক্ষসহ ৪-৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। শুরুতে তিনজন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও এর সংখ্যা আর বাড়েনি। পরপর দুই বছর ওই তিন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিলেও তারা পাস করতে পারেননি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এটি শুধু নামেমাত্র কলেজ। পর্যাপ্ত অবকাঠামো নেই। নেই শিক্ষার পরিবেশও। তাই এখানে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হতে চায় না।
প্রতিষ্ঠাতা মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ২০১৯ সালে এ প্রতিষ্ঠানটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে অ্যাফিলিয়েশন পায়। গত দুই বছর থেকে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। তবে গত বছর এই তিন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ফেল করেছিল। এবারও তারা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফেল করে।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে প্রতিষ্ঠাতা মো. হারুন অর রশিদ বলেন, আমার স্ত্রী এই কলেজের অধ্যক্ষ। তাই আমার বক্তব্যই তার বক্তব্য। আলাদাভাবে অধ্যক্ষের বক্তব্য নিতে হবে না।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম বলেন, কলমাকান্দায় মহিলা কলেজ আছে বলে আমার জানা নেই। আপনার কাছ থেকেই প্রথম জানলাম। তবে খোঁজ নিয়ে দেখবো।
এইচ এম কামাল/এফএ/জেআইএম