ভূরুঙ্গামারীতে আ.লীগের মনোনয়ন পেয়েছে রাজাকার সন্তান


প্রকাশিত: ০৩:৩৪ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

কুড়িগ্রামে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে দ্বিতীয় ধাপে আগামী ৩১ মার্চ। এই নির্বাচনকে ঘিরে কুড়িগ্রামে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা আওয়ামী লীগ ১০টি ইউনিয়নে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটির পৃথক বর্ধিত সভায় গোপন ব্যালটের মাধ্যমে চেয়ারম্যান প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে।

এদের মধ্যে দুটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোনীত প্রার্থী স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার পরিবারের সদস্য। এছাড়াও একই ইউনিয়নে বড় ভাই বিএনপি এবং ছোট ভাই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।

ভূরুঙ্গামারীর ১০টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, ১নং পাথরডুবি ইউনিয়নে মো. আব্দুল করিম, ২নং শিলখুড়ি ইউনিয়নে আসাদুজ্জামান আসাদ, ৩নং তিলাই ইউনিয়নে আবুল হোসেন, ৪নং পাইকেরছড়া ইউনিয়নে লুৎফর রহমান, ৫নং ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নে ইসলামুল হক, ৬নং জয়মনিরহাট ইউনিয়নে প্রভাষক জালাল উদ্দিন, ৭নং আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নে ফজলুল হক, ৮নং বলদিয়া ইউনিয়নে শহিদুল ইসলাম শহিদ, ৯নং চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নে আমিনুল ইসলাম জুয়েল এবং ১০নং বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নে মাইনুল ইসলাম লিটন।
 
এদের মধ্যে আন্ধারীর ঝাড় ও পাইকের ছড়া ইউনিয়নের প্রার্থী রাজারকার পরিবারের সদস্যকে মনোনীত করায় ক্ষোভ বিরাজ করছে উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে।

আন্ধারীর ঝাড় ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুছ আলী বলেন, ফজলুল হক মণ্ডলের বাবা মৃত আব্দুল খালেক মণ্ডল ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পিস কমিটির এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। অপরদিকে পাইকেরছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফর রহমানের বাবা মৃত জয়েন উদ্দিনও ছিলেন ইউনিয়নের পিস কমিটির চেয়ারম্যান।
 
তিনি বলেন, পাইকেরছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফর রহমান আর বড় ভাই আব্দুর রহিম ওই ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি। দুজনেই দুটি দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার পরিবারের সন্তানদের আমরা নৌকা মার্কায় প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাইনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত এই সমস্যাগুলোর সমাধানে উদ্যোগ নেবে বলে বিশ্বাস করি।

২নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি রাজু আহমেদ খোকন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। উপজেলা কমিটির সিদ্ধান্তে কমিটির সদস্যদের ভোটে প্রার্থী নির্বাচন করার কথা থাকলেও কারচুপি ভোটের মাধ্যমে প্রার্থিতা নির্বাচিত করা হয়েছে।
 
স্বাধীনতা বিরোধী ও রাজাকার পরিবারের সন্তানদের মনোনয়ন দেবার বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাজাহান সিরাজ স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি মনোনয়ন দেবার সময় আমরা জানতে পেরেছি। এছাড়াও তারা আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছে। কাউকে ব্যক্তিগতভাবে মনোনয়ন দেয়া হয়নি।

নাজমুল হোসেন/এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।