ধুনটে বাঁশ-কাগজের শহীদ মিনারে শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া
প্রকাশিত: ০৬:৪৩ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বিদ্যালয়ে নেই স্থায়ী শহীদ মিনার। ফলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আগের দিন বাঁশ আর কাগজ দিয়ে শিক্ষার্থীরা তৈরি করে ভালোবাসার মিনার। ওই শহীদ মিনারের বেদিতেই সোমবার দিনগত (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ১ মিনিটে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। ফুলে ভরে ওঠে শহীদ মিনারের বেদি।

বগুড়ার ধুনট উপজেলার পিরহাটি উচ্চবিদ্যালয়ে তৈরি করা হয় অস্থায়ী এ শহীদ মিনার। বিদ্যালয়টি ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠা হলেও এখনও শহীদ মিনার তৈরির উদ্যোগ নেয়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে শহীদ মিনার না থাকলেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আগ্রহের কোনো কমতি ছিল না। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নিজেদের গড়া শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানায়।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, আমাদের বিদ্যালয়ে কোনো শহীদ মিনার নেই। এ কারণে জাতীয় দিবসগুলোতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারি না। এ বছর বিদ্যালয়ে বাঁশ আর কাগজ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছি। নিজ বিদ্যালয়ে প্রতীকী শহীদ মিনারে ফুল দিতে পেরে আমাদের খুব ভালো লেগেছে।

পিরহাটি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, বরাদ্দ না থাকায় বিদ্যালয়ে এখনো স্থায়ী কোনো শহীদ মিনার নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। বাঁশ আর কাগজ দিয়ে শহীদ মিনারটি তৈরি করতে দুই-তিন দিন ধরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস, আনন্দ আর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ দেখেছি- তা অকৃত্রিম। তবে এখানে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারিভাবে বিভিন্ন বরাদ্দ আসে। সেখান থেকে শহীদ মিনার তৈরি করতে পারে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই যুগে বাঁশ ও কাগজ দিয়ে শহীদ মিনার বানিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন খুবই দুঃখজনক।

কেএসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।