বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে প্রবাসীকে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জামালপুর
প্রকাশিত: ০৮:৪৬ এএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ভুক্তভোগী প্রবাসী আনিছ মোল্লা

জামালপুরের মেলান্দহে এক ইতালি প্রবাসীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ইসমাইল হোসেন নামে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ছাত্রলীগ নেতা।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে মেলান্দহ পৌরসভার পশ্চিম জালালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী আনিছ মোল্লা ওই এলাকার মৃত তারা মোল্লার ছেলে। রাতেই তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, আনিছ মোল্লা মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মেলান্দহ রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকাগামী আন্তঃনগর তিস্তা ট্রেনে তার ইতালি প্রবাসী চাচা নুর হোসেনকে উঠিয়ে দিতে যান। এসময় ট্রেনের বগিতে স্থানীয় এক যাত্রীর সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। এর জেরে মঙ্গলবার রাতে আনিছ মোল্লাকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নেন মেলান্দহ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন। আনিছ মোল্লা বাড়ির গেটে বের হওয়া মাত্রই ইসমাইল হোসেন ও তার সহযোগীরা আনিছকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। তার চিৎকারে পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এগিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যান। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার রাতেই ২৫০ শয্যার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আনিছ মোল্লা জানান, জীবন-জীবিকার তাগিদে তিনি ২০০৭ সালে ইতালিতে যান। তারপর থেকেই তিনি সেখানেই আছেন। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশে আসেন। আগামী ২ মার্চ তার ইতালিতে যাওয়ার কথা। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ইসমাইল হোসেন ও তার সহযোগীরা তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করেন। তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

ভুক্তভোগী আনিছ মোল্লার চাচা নুর হোসেন মোবাইলফোনে জাগো নিউজকে বলেন, সামান্য কথা কাটাকাটির জের ধরে মঙ্গলবার রাত সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে প্রায় শতাধিক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার ভাতিজাকে পিটিয়ে আহত করেন। এখন তার ভাতিজা জামালপুর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মেলান্দহ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এ বিষয়ে আমার ধারণা নেই। আনিছের সঙ্গে কখনো আমার দ্বন্দ্ব-বিবাদ ছিল না।

জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবিরুল ইসলাম খান জাগো নিউজকে বলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম স্বফেন ভাইয়ের স্ত্রী তিস্তা দিয়ে ঢাকা যাওয়ার সময় তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনায় নূর হোসেন নামে একজন স্বফেন ভাইয়ের স্ত্রীকে অপমান করেন। এতটুকু ঘটনা আমি শুনেছি।

মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়। কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছি তা আমার জানা নেই।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগও করেননি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো. নাসিম উদ্দিন/এমআরআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।