অবকাঠামো হলেও যাতায়াতের ব্যবস্থা নেই সেই বিদ্যালয়ে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: ০৯:৩০ পিএম, ১২ মার্চ ২০২৩

পূর্ণতা পেয়েছে কুড়িগ্রাম মাঝের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দুই মাস আগের বেড়াহীন একচালা টিনের ঘরটি সংস্কার হয়েছে। চেয়ার-টেবিলসহ আসবাবপত্র পেয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। নতুন ঘর পেয়ে খুশি হলেও বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথ না থাকায় ভোগান্তি কমছে না তাদের।

স্থানীয়রা জানান, ২০০৪ সালে কুড়িগ্রামের মোগলবাসা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর মৌজায় স্থানীয়দের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় উত্তর মাঝের চর আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়। এলাকাটি নিচু হওয়ায় বিদ্যালয়টি বছরের বেশিরভাগ সময় পানিতে তলিয়ে থাকে। ২০১১ সালে পাশের উত্তর মাঝের চর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় বিদ্যালয়টি। সেখানে থাকাকালীন ২০১৮ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয়। গত বছরের বন্যায় চর কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভেঙে যায়। এরপর সে বিদ্যালয়টিও স্থানান্তরিত হয় উত্তর মাঝের চর গ্রামে। পাশাপাশি দুটি বিদ্যালয় একই স্থানে হওয়ায় উত্তর মাঝের চর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পূর্বের স্থানে স্থানান্তর করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এরপর থেকে বিদ্যালয়ের বেহাল দশা। পরিবেশ না থাকায় সন্তানদের ভর্তি করাচ্ছেন না অভিভাবক।

jagonews24

ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোছা. আস্থা খাতুন বলেন, আমরা নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছি। এখন আমাদের পড়াশোনা জন্য ভালো পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এখন আমরা খুব খুশি।

কাজলি বেগম নামের এক অভিভাবক বলেন, এখন স্কুলের ঘর হলো টিউবওয়েল-বাথরুম হলো। এ পরিবেশে বাচ্চাদের এ স্কুলে পড়াতে কোনো সমস্যা নেই।

আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী-অবকাঠামো কিছুই নেই তবু সরকারি বিদ্যালয়

লাইলি বেগম নামের আরেক অভিভাবক বলেন, দুই মাস আগে এ বিদ্যালয়ের ঘর-টিউবওয়েল কিছুই ছিল না। এখন চার রুমের একটি ঘর হয়েছে। অভিভাবকদের বসার জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা হয়েছে। এখন একটি রাস্তার দরকার।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোছা. মহসিনা বেগম বলেন, এখন স্কুলটিতে মোটামুটি পরিবেশ ফিরে এসেছে। টিউবওয়েল-বাথরুম সব হয়েছে। বিদ্যালয়ে আসার কোনো পথ নেই। একটি রাস্তার ব্যবস্থা হলে আমরা আরও উপকৃত হবো।

jagonews24

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন বলেন, বিদ্যালয়টি স্থানান্তর ও জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এমন হয়েছিল। এখন আর কোনো সমস্যা নেই। একটা ব্রিজ কিংবা রাস্তা হলে যাতায়াতের সমস্যাও দূর হবে।

এ বিষয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কানিজ আখতার বলেন, জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে স্কুলটির অবস্থা খারাপ ছিল। আমাদের স্কুলের কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ঘর নির্মাণ হয়েছে। স্কুলে যাতায়াতের রাস্তার বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।

ফজলুল করিম ফারাজী/আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।