‘আমি যখন শিশু, বঙ্গবন্ধু আমার কপালে চুমু দিয়েছিলেন’

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পাবনা
প্রকাশিত: ০৬:৩৯ পিএম, ২০ মার্চ ২০২৩

‘আমি যখন শিশু, বঙ্গবন্ধু আমার কপালে চুমু দিয়েছিলেন। আমি সেই স্মৃতি ধারণ করি, লালন করি। সেটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ স্মৃতি।’ সোমবার (২০ মার্চ) পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন চিফ অব জেনারেল স্টাফ আর্মি হেডকোয়ার্টারস ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের সাবেক উপাচার্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, শিক্ষা মানুষকে আলোকিত করে, তথ্য মানুষকে সমৃদ্ধ করে। আমাদের সবার মাঝে রত্নভান্ডার আছে, আলো আছে। সেটাকে আলোকিত করতে হবে। বিহঙ্গের মতো নিজেকে মেলে ধরতে হবে। সবার মধ্যে অগ্নির শক্তি আছে। সেই শক্তিটাকে জানতে হবে।

২০২০ সালের ০৫ মার্চ তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর করোনার কারণে দেশে লকডাউন দেওয়া হলে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেন এবং ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বাপর শিক্ষা পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

তিনি জানান, কোনো অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও লকডাউন শুরুর পাঁচদিনের মধ্যেই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্লাস, পরবর্তীতে পরীক্ষা শুরু করা হয় এবং তা চলমান থাকায় কোনো সেশনজটের সৃষ্টি হয়নি। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের পাশে নানা সহায়তা নিয়ে দাঁড়ায়। আমি তখন দেখেছি ছাত্রছাত্রীরা সৎ ও হৃদয়বান। যাদের প্রয়োজন কেবল তারাই সহায়তা নিয়েছে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্র সম্পর্কে বলেন, বঙ্গবন্ধু রূপুপর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমরা নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের ৩৩তম গর্বিত সদস্য দেশ। এর আগে আমরা স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেখেছি। রূপপুর বাংলাদেশের গর্ব হতে চলেছে। ভবিষ্যতে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংযোগ স্থাপিত হবে।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, সমাজকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সম্পদ খুঁজে বের করতে হবে। ভেতরের আলোর প্রজ্জ্বলন ঘটাতে হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোবাসি। সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছি। সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছি।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান, কেষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কে এম সালাহ উদ্দীন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মান জানানো হয়।

এর আগে সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসে পৌঁছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পাতাকা এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

আমিন ইসলাম জুয়েল/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।