আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার-আইনজীবী সমর্থকদের মারামারি

যশোরের আদালত চত্বরে সিনিয়র আইনজীবী কাজী ফরিদুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার একেএম মোর্ত্তজার সমর্থকদের মধ্যে মারামারি ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিষয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্টরা জানান, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ফরিদুল ইসলাম একটি মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী। ওই মামলার বাদীর অনুপস্থিতিতে মামলার আপসনামা (প্রত্যাহারপত্র) সই করতে বলেন ব্যারিস্টার একেএম মোর্ত্তজা। কিন্তু কাজী ফরিদুল ইসলাম তাতে রাজি হননি। এতে ক্ষিপ্ত হন ব্যারিস্টার একেএম মোর্ত্তজা ও তার সহযোগীরা। এসময় তারা কাজী ফরিদুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করেন।
খবর পেয়ে অন্য আইনজীবীরা ঘটনাস্থলে এসে ব্যারিস্টার একেএম গোলাম মোর্ত্তজা ও তার সহযোগীদের ওপর হামলা চালান। এসময় একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় আদালত চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। একইসঙ্গে ব্যারিস্টার একেএম গোলাম মোর্ত্তজা ও তার সহযোগীদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেয় পুলিশ। তবে এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি।
আদালত চত্বরে অ্যাডভোকেট কাজী ফরিদুল ইসলাম বলেন, বাদীর অনুপস্থিতিতে তাকে মামলার প্রত্যাহারপত্রে সই করতে বলা হয়। এতে তিনি রাজি হননি। তখন তাকে হুমকি দেয়। তাকে বলা হয়, ‘আমি ইংল্যান্ডের ব্যারিস্টার, আপনাকে দেখে নেবো’।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যারিস্টার একেএম মোর্ত্তজা বলেন, ‘আমার মায়ের একটি মামলার আইনজীবী ফরিদুল ইসলাম। মাকে নিয়ে তার কাছে গিয়েছিলাম। মামলা প্রত্যাহারের কাগজে বাদী ও আইনজীবীর সই দরকার হয়। তাকে সই করতে বলা হলে তিনি করেননি। উল্টো হুমকি-ধমকি দেন। একপর্যায়ে ফোন করে লোকজন ডেকে এনে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। তবে এ বিষয়ে কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি।
মিলন রহমান/এসআর/এমএস