সন্তান বিক্রির পর চুরির নাটক সাজালেন মা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ১১:৩১ এএম, ২৮ মার্চ ২০২৩

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় রোহান ফকির নামে তিন মাসের এক শিশুকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে মা মুন্নি আক্তারের বিরুদ্ধে। বিক্রির পর তিনি অভিযোগ করেন হাসপাতাল থেকে তার সন্তান নিখোঁজ হয়েছে।

সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান।

এর আগে রোববার (২৬ মার্চ) সকালে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মুন্নি আক্তার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, ফরিদপুর শিশু হাসপাতাল থেকে কে বা কারা তার সন্তানকে নিয়ে গেছে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে ওই নারী ভাঙ্গা উপজেলার আছমা নামে অপর এক নারীর কাছে সন্তান বিক্রি করেছেন।

পরে আছমা বেগমের কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মা মুন্নি আক্তারসহ যারা শিশুটিকে কিনেছিলেন তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান জানান, রোববার কোতোয়ালি থানায় মুন্নি আক্তার নিজের শিশু সন্তান নিখোঁজ হয়েছে মর্মে সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। পরে আধুনিক প্রযুক্তি ও শহরের সব সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায় শিশুটি চুরি হয়নি। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, মুন্নি আক্তারের স্বামীর বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার উতরাইল গ্রামে। তার বাবার বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে। তিনি তিন মাসের ছেলে সন্তান রোহান ফকিরকে নিয়ে ভাঙ্গা উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে থাকতেন। তার স্বামী ইমারত ফকির প্রবাসে থাকেন। তিনি ছয় মাস আগে বিদেশে গেছেন। মুন্নির অভাব কিংবা অন্য কোনো সমস্যা থাকতে পারে। ফরিদপুর শিশু হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি হওয়ার নাটক সাজান তিনি। এই মুহূর্তে সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে চাচ্ছেন না মুন্নি আক্তার।

এন কে বি নয়ন/এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।