১২ ঘণ্টা পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক
দীর্ঘ ১২ ঘণ্টার তীব্র যানজটের পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৫টায় মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহাষ্টমী স্নান উৎসব ঘিরে কয়েক লাখ পূণ্যার্থীর আগমনের কারণে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বাড়ে। এতে ভোর ৫টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
মদনপুরসহ কয়েকটি পয়েন্টে পূণ্যার্থীরা যানবাহন থেকে নেমে রাস্তা পারাপারের কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে ওই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের বেশ দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
এখন যানচলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় এই মহাসড়ক দিয়ে চলাচলরত যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি কাজ করছে। মহাসড়কের পাশাপাশি বিকল্প সড়কগুলোতেও নেই কোনো যানজট।
রবিন হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, সকালে তীব্র যানজট থাকলেও এখন কোনো যানজট নেই। তাই নির্বিঘ্নে কর্মস্থল থেকে বাসায় আসতে পেরেছি।
আলম নামে আরেক যাত্রী বলেন, সকালে কর্মস্থলে যেতে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছিল। ভেবেছিলাম কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে একই ভোগান্তির শিকার হতে হবে। কিন্তু এখন মহাসড়ক একদম ফাঁকা থাকায় অনায়াসে গন্তব্যস্থলে এসেছি।
সোলাইমান মিয়া নামে এক ট্রাকচালক বলেন, সকালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মালামাল নিয়ে জ্যামে আটকে থাকতে হয়েছিল। তবে আসার সময় কোনো যানজটের সম্মুখীন হতে হয়নি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, লাঙ্গলবন্দ স্নানে পূণ্যার্থীদের আগমন ঘিরে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপে এ দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। তবে দুপুরের পর থেকে যানবাহনের চাপ কমতে থাকে। বর্তমানে মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক আছে। মহাসড়কে এখনো হাইওয়ে পুলিশ মোতায়েন আছে।
রাশেদুল ইসলাম রাজু/এমআরআর/এএসএম