মসজিদে তালা : নামাজ আদায় করতে পারছেন না মুসল্লিরা
শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার গঙ্গেশকাঠি গ্রামে জান্নাতুন নূর জামে মসজিদের তহবিলের হিসাব চাওয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৬ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার জের হিসেবে দু’মাস যাবৎ মসজিদটি তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। এলাকায় উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। উভয় পক্ষ আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছে। এক পক্ষের আসামি সুরুজ তালুকদারকে (২৫) জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
সরেজমিনে জানা যায়, মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম শাহবুদ্দিন তালুকদার, বর্তমান সভাপতি জলিল তালুকদার, সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী তালুকদার কোষাদক্ষ জয়নাল তালুকদার প্রতিদিনের ন্যায় মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসেন। নামাজ শেষে সাবেক সভাপতি একেএম শাহবুদ্দিন তালুকদার ও সহ সভাপতি মোহাম্মদ আলী তালুকদার মসজিদের তহবিলের হিসাব চাইলে বর্তমান সভাপতি জলিল তালুকদার ও কোষাদক্ষ জয়নাল তালুকদারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে, এতে ৬ জন আহত হয়। আহতদেরকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার জের হিসেবে বর্তমান সভাপতি জলিল তালুকদার, কোষাদক্ষ জয়নাল তালুকদার, মোতালেব তালুকদার, আ. কাদের তালুকদার, শরীফ তালুকদার, দুলাল তালুকদার ও রহমান তালুকদার মসজিদটিকে তালা বদ্ধ করে রাখেন। যার প্রেক্ষিতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের নামাজ আদায়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম শাহবুদ্দিন তালুকদার বলেন, আমরা বর্তমান চেয়ারম্যান দ্বীন মোহাম্মদ দুলাল মাদবরের দল করিনি তাই আমাদের বিভিন্ন মামলা করে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। তারা গ্রামের প্রভাবশালী হওয়ায় গত দু মাস যাবৎ মসজিদটিকে তালাবদ্ধ করে রেখেছে। আমরা নামাজ আদায় করতে পারছি না।
বর্তমান সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী তালুকদার বলেন, মসজিদের বর্তমান সভাপতি ও কোষাদক্ষ ক্ষমতার জোর দেখিয়ে মসজিদটিকে তালাবদ্ধ করে রেখেছে এবং আমাদের উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আবার প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে।
স্থানীয় মুনসুর বলেন, গত সোমবার আমার মা মারা যান। আমি মসজিদ থেকে খাট আনতে গেলে দেখি মসজিদ তালা। আমি মসজিদের বর্তমান সভাপতি জলিল তালুকদারের কাছে চাবি আনতে গেলে আমাকে চাবি তো দেয়নি উল্টো গালাগালি করেছে।
ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দ্বীন মোহাম্মদ দুলাল মাদবর বলেন, মসজিদের কমিটিতে যারা রয়েছেন তারা মসজিদের আশে পাশের লোক। তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই মসজিদকে নিয়ে টানা হেঁছরা করছে। আমি দ্রুত তাদেরকে নিয়ে বসে সমস্যার সমাধান করবো।
মো. ছগির হোসেন/বিএ