দুর্নীতির অভিযোগে কৃষক লীগের ২ নেতাকে অব্যাহতি
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আতাউর রহমান সরকার ও সাধারণ সম্পাদক বকুল বিশ্বাসকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সরকারি আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২ মে) বিকেলে গাইবান্ধা জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার পাল জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার রাতে গাইবান্ধা জেলা কৃষক লীগের সভাপতি হাসান মাহমুদ সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার পালের সই করা একটি পত্র সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আতাউর রহমান সরকার ও সাধারণ সম্পাদক বকুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন কৃষক লীগের নেতাদের বিভিন্ন অভিযোগ আছে। এছাড়া আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমি-গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার নামে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক টাকা নেওয়ার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
তাই সাংগঠনিক স্বার্থে কৃষক লীগের গঠনতান্ত্রিক বিধি মোতাবেক সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আতাউর রহমান সরকার ও সাধারণ সম্পাদক বকুল বিশ্বাসকে সংগঠনের স্ব স্ব পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো।
গাইবান্ধা জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার পাল বলেন, অভিযুক্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতিকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক বকুল বিশ্বাস দলীয়ভাবে ঘর দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনের মাধ্যমে সোনারায় ইউনিয়নের অসহায় ও দিনমজুর ১৩টি পরিবারের কাছ থেকে ৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এছাড়া উপজেলার বেলকা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি লাইলী বেগমের মাধ্যমে শিশু ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও ভূমিহীনদের জমিসহ ঘর দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে অর্থ নেন উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক বকুল বিশ্বাস। ভুক্তভোগীরা বার বার যোগাযোগ করে টাকা না পেয়ে ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় পৌরশহরে কাঁঠালতলীর মোড়ে বকুল বিশ্বাসকে আটকে রাখে স্থানীয় জনতা। টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনতার হাত থেকে ছাড়া পান তিনি।
এসজে/এএসএম