‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশকে পরিচিত করা সম্ভব’
পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (জিআই) জিল্লুর রহমান বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম প্রচণ্ড সুস্বাদু। বিশেষ করে এ জেলার ক্ষীরশাপাতি আম অত্যন্ত সুমিষ্ট। সারাদেশেই এখানকার আমের সুনাম রয়েছে। এমনকি বিদেশেও গিয়েছে এ আম। এ জেলার আম দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বে পরিচিত করা সম্ভব। শুধু দরকার ভৌগোলিক নির্দেশক (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন বা জিআই)।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি রেস্তোরাঁয় কনফারেন্স রুমে ভৌগোলিক নির্দেশকের মাধ্যমে ক্ষীরশাপাতি আমের ব্র্যান্ডিং বিষয়ক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।

আরও পড়ুন: জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন পাচ্ছে ‘খিরসাপাত’ আম
জিল্লুর রহমান বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাজারে আসবে আরও ২০ দিন পরে। কিন্তু এখানকার আমের নাম ব্যবহার করে বাজারে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন এলাকার অপরিপক্ক আম। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এখানকার আমচাষিরা। তাই এখানকার ক্ষীরশাপাতি আমের ব্র্যান্ডিং প্রয়োজন। এ জেলার ক্ষীরশাপাতি আমচাষিদের অনুরোধ করবো আপনারা ক্ষীরশাপাতি আমের ব্র্যান্ডিং করেন। এতে বিশ্ববাজারে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আমের কদর বাড়বে।’
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আম জিআই পণ্য হিসেবে সনদ পেয়েছে। তবে আমরা এখনো জিআই সনদের স্টিকার লাগাতে পারছি না। তবে খুব দ্রুত তা ব্যবস্থা করা হবে।’

আরও পড়ুন: ফজলি আমের স্বত্ব রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ উভয়ের
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব মেধা সম্পদ সংস্থার লিগ্যাল অফিসার ম্যটিও গ্রাগনানি। তিনি বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের সুনাম শুনেছি। তাই প্রজেক্টের কাজে এখানে আসা। আমার ইচ্ছা আছে এখানকার আমচাষিদের সঙ্গে কাজ করবো।’
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ম্যাংগো ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আহসান হাবিব, শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম ও ৩০ জন আমচাষি।
সোহান মাহমুদ/এসআর/জিকেএস