টেকনাফে চলছে বিজিবি-বিজিপির দুইদিনের সীমান্ত সম্মেলন

পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধিসহ নানা বিষয় নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মাঝে রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে দুইদিনের সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে।

বুধবার (২৪ মে) বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফে সেন্ট্রাল রিসোর্ট সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিক এ সম্মেলন শুরু হয়ে বিকেলে প্রথম দিনের অধিবেশন সমাপ্ত হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সীমান্ত সম্মেলন দ্বিতীয়দিনের কার্যক্রম শেষে বিকেলে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল দেশে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এক বার্তায় জানান, মাদক পাচার, অবৈধ অনুপ্রবেশ, আন্তঃরাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ, সীমান্ত নিরাপত্তা, তথ্য বিনিময়, সমন্বিত টহল, পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধিসহ নানা বিষয় নিয়ে বিজিবি ও বিজিপি রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন বুধবার শুরু হয়েছে। এতে বাংলাদেশের পক্ষে ১৫ সদস্যের বিজিবির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব। এতে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।

অপরদিকে, বিজিপির ১ নম্বর পুলিশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তি ত লুইনের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন।

টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, বুধবার সকাল ১০টা থেকে টেকনাফ সেন্ট্রাল রিসোর্ট হলরুমে দুইদেশের মধ্যে সীমান্ত সম্মেলনের প্রথমদিনের আলোচনা শুরুর পর বিকেল ৪টায় শেষ হয়। বৃহস্পতিবার দুইদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হবে।

এর আগে সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল সকালে নৌপথে শাহপরীরদ্বীপ জেটিঘাট হয়ে টেকনাফে আসে। মিয়ানমার প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে পৌঁছালে বিজিবির পক্ষ থেকে তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভ্যর্থনা জানানো হয়। এসময় বিজিবির একটি সুসজ্জিত দল মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়।

বৃহস্পতিবার যৌথ আলোচনার দলিল সইয়ের মধ্য দিয়ে দুইদিনের সম্মেলন শেষ হবে। সম্মেলন শেষে ওইদিন বিকেলে মিয়ানমার প্রতিনিধিদল দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন বলে ২ বিজিবির অধিনায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ জানান।

সায়ীদ আলমগীর/এমআরআর/জিকেএস