কামড়ানোর পর মরা সাপ নিয়ে হাসপাতালে হাজির রোগী
চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামে সাপের কামড়ে রায়হান উদ্দিন (৩২) নামে এক যুবক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় ওই রোগীর সঙ্গে মৃত সাপটিকেও হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনেরা।
ভুক্তভোগী রায়হান উদ্দিন আন্দুলবাড়ীয়া উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার। রোববার (১১ জুন) রাত ৯টার উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার দুপুরে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন তিনি।
এদিকে রাতে সাপ নিয়ে ওই যুবকের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে হাজির হলে হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনরা মরা সাপটি দেখতে ভিড় জমান।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান বলেন, রোগীর স্বজনরা রোগীসহ একটি মৃত সাপ সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দিয়ে গতরাত থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসাতে তিনি (রায়হান) সুস্থ হয়ে গেছেন। অলরেডি তিনি হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন।
এদিকে সাপটি সম্পূর্ণ নির্বিষ ছিল বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার পরিবেশবাদী সংগঠন ‘পানকৌড়ি’র প্রতিষ্ঠাতা বখতিয়ার হামিদ।
তিনি বলেন, সাপটির নাম ঘরগিন্নী বা ঘরচিতি (Common Wolf Snake)। টিকিটিকি বা পোকামাকড় খাওয়ার জন্য এরা মূলত ঘরে প্রবেশ করে থাকে। ভয়ের কিছু নেই। প্রাথমিক চিকিৎসায় রোগী সুস্থ হয়ে যাবেন।
রায়হান উদ্দিন বলেন, রাতে বাড়িতে আমি এশার নামাজ পড়ছিলাম। এ সময় সাপটি আমার ঘরে ঢুকে ডান পায়ে কামড় দেয়। এরপর পরিবারের সদস্যরা আমাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। তারা চিকিৎসার সুবিধার্থে সাপটি মেরে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসেন। পরে আমি জেনেছি সাপটি নির্বিষ ছিল৷ আলহামদুলিল্লাহ, এখন সুস্থ আছি।
হুসাইন মালিক/এফএ/এমএস