ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসিকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ০৩:৩৬ পিএম, ১৪ জুন ২০২৩
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পুলিশ স্কয়ার মার্কেট নির্মাণে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ এবং সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিলকে জিঙ্গাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (১৪ জুন) সকাল ১০টার দিকে পৌর শহরের ঝিলটুলি এলাকায় ফরিদপুর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে তাকে তলব করে জিঙ্গাসাবাদ করা হয়। প্রায় আড়াইঘণ্টা ধরে তাকে জিঙ্গাসাবাদ করেন দুদকের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম।

এ বিষয়ে রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, কোতোয়ালি থানার ওসি এম এ জলিলের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানা সংলগ্ন দক্ষিণ পাশের পুলিশ স্কয়ার মার্কেট নির্মাণের সময় দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির আশ্রয়ের অভিযোগ ও তার ব্যক্তিগত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে তাকে জিঙ্গাসাবাদ করতে ডাকা হয়েছিল। ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। এছাড়া ওসির বিরুদ্ধে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অসদাচরণ, থানায় ঘুস গ্রহণের অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। সব অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার (ওসি) এম এ জলিল তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পুলিশ স্কয়ার মার্কেটের বিষয়ে বেনামে চিঠির বিষয়ে আমাকে ডেকেছিল। অভিযোগের বিষয় ছিল- মার্কেট নিয়ে অনেক টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। কিন্তু মার্কেট তো সাবেক এসপি আলিমুজ্জামান থাকাকালে হয়েছে এবং টাকার বিষয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। এখানে এক টাকাও এদিক-সেদিক হয়নি। সব টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, একজন বেনামে চিঠি দিতেই পারে। তবে তার ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জন বা তার বিরুদ্ধে আনিত অন্য অভিযোগগুলোর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এন কে বি নয়ন/এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।