কোরবানির জন্য ফেনীতে ১ লাখের বেশি পশু প্রস্তুত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফেনী
প্রকাশিত: ০৫:৩৬ পিএম, ১৪ জুন ২০২৩

আসন্ন কোরবানির পশুর বাজারকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন ফেনীর খামারিরা। প্রান্তিক কৃষক থেকে শুরু করে বড় খামারিরাও এবার লোকসান কাটিয়ে লাভের স্বপ্ন দেখছেন।

জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, আসন্ন কোরবানির ঈদে ফেনীতে ৮০ হাজার ৮০০ পশুর চাহিদা আছে। তবে জেলার বিভিন্ন খামারি ও প্রান্তিক পশু পালনকারীদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যে ১ লাখের বেশি পশুর যোগান আছে। অনেকে নিজেরা লালন পালন করে কোরবানি করে থাকেন। সে হিসাবে ১ লাখ ২ হাজার পশু কোরবানি হয়ে থাকে।

স্থানীয় খামারের পশু ও দেশের অভ্যন্তরে উত্তরাঞ্চলের পশু দিয়ে কোরবানির চাহিদা খুব সহজেই পূরণ হয়ে যাবে। ফেনীতে বড়-ছোট খামারিদের পাশাপাশি বিশেষ করে নোয়াখালী, সিরাজগঞ্জ, মাদারীপুর জেলা থেকে আসা গরুতেই প্রায় বছরই চাহিদা পূরণ হয়।

হাসিনা এগ্রোর স্বত্বাধিকারী আরাফাত খান জাগো নিউজকে বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে নিজ উদ্যোগে শহরের পাঠান বাড়ির পশ্চিম দিকে মোকছেুদুর রহমান সড়কে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও কোরবানির পশু পাইকারি ও খুচরা সুলভ মূল্যে বিক্রি চলছে। পশু মোটাতাজাকরণ আসলে পেশা নয় সেবা হিসেবে বেঁচে নিয়েছি।

তার মতে, আসন্ন কোরবানকে সামনে রেখে পশু মোটাতাজাকরণ আমার পেশা নয়। শুধুমাত্র শখের বসে পশু মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেছি।

fe0.jpg

আমান এগ্রোর পরিচালক রাফি উদ্দিন হামিম জাগো নিউজকে বলেন, সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের দমদমা এলাকায় ১০ বছর ধরে কোরবানিকে সামনে রেখে পশু মোটাতাজা করণ কাজ চলছে। সম্পূর্ণ দেশীয় জাতের পশু এখানে পাওয়া যায়। ছোট, মাঝারি ও বড় সব ধরনের পশু মজুত আছে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাদ্য দিয়ে এ পশু লালন পালন করা হয়ে থাকে।

আমান এগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ন্যায্যমূল্যে সুস্থ সবল কোরবানির গরু বিক্রির মাধ্যমে ক্রেতাদের আস্থা অর্জনই আমাদের প্রতিষ্ঠানের একমাত্র লক্ষ্য। ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় রেখে ৮০ হাজার টাকা থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা মূল্যে গরুর ব্যবস্থা রেখেছি। এছাড়া সারাবছর খামারে বিভিন্ন প্রজাতির গরু লালন পালন করি। যেসব ক্রেতারা সময় স্বল্পতার জন্য খামারে যেতে পারবেন না তারা ১৬ জুন শুক্রবার থেকে শহরের পাঠানবাড়ি রোডের মোমিন জাহান মসজিদের দক্ষিণ পাশে আমাদের ডিসপ্লে সেন্টারে ঘুরে যেতে পারেন।

সোহান এগ্রো ফার্ম পরিচালক হাসান মাহমুদ সবুজ জাগো নিউজকে বলেন, আমরা যেন দেশীয় পশু দিয়ে কোরবানি করতে পারি সেই উদ্দেশ্যে এ বছর শুরু করা হয়েছে পশু মোটাতাজাকরণ। মোটাতাজাকরণে যে কর্মচারী রাখা হয়েছে তাদের খরচ বিবেচনা করে পশুর মূল্য নির্ধারণ করা হবে।

সিটি এগ্রোর পরিচালক আবদুল ওহাব ভূঞা রিয়াদ জাগো নিউজকে বলেন, প্রাণী সম্পদ বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী মনোরম পরিবেশে নিজের জায়গায় পশু মোটাতাজাকরণ ও গাভী পালনের জন্য শেড তৈরি করা হয়েছে। গত বছরও কোরবানির সময় পশুর ভালো চাহিদা ছিল। সেই অনুযায়ী এ বছর বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে কোরবানিকে সামনে রেখে বেশি পশু মজুত করা সম্ভব হয়নি। তবে গাভী লালন-পালন পুরো দমে চলছে।

ফেনী জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আনিসুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ফেনীর চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণ পশু আছে। তবে ফেনীর মানুষ নিজেরা ব্যক্তিগতভাবে কোরবানি করতে বেশি পছন্দ করেন। সে হিসেবেও পশুর ঘাটতির আশঙ্কা নেই।

তিনি আরও বলেন, দেশের অন্য স্থানের মতো ফেনীতে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে কোরবানির পশু সরবরাহ করা হবে। আবার ফেনীতে বিভিন্ন খামারেও এখন ভালো জাতের বড় গরু লালন-পালন হচ্ছে।

আবদুল্লাহ আল-মামুন/এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।