এখনো জমে ওঠেনি নাটোরের পশুহাট

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নাটোর
প্রকাশিত: ১২:২৮ পিএম, ২০ জুন ২০২৩

ঈদুল আজহার আর মাত্র ৯ দিন বাকি। তবে এখনো জমে ওঠেনি উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ পশুহাট নাটোরের তেবাড়িয়া হাট। রোববারও (১৮ জুন) হাটে পশু আমদানি কম দেখা গেছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের অভিযোগ, সরকার নির্ধারিত হাসিলের চেয়ে ইচ্ছামতো টাকা আদায় করা হচ্ছে।

নাটোরের তেবারিয়া হাট ঘুরে দেখা যায়, সেখানে গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা। তবে পশু আমদানি কম। এজন্য বেচাকেনাও কম। ক্রেতারা বলছেন হাটে পশুর দাম বেশি। তবে বিক্রেতারা বলছেন, ক্রেতারা যে দাম বলছেন তাতে তাদের পোষাবে না।

হাটে পাঁচটি গরু নিয়ে এসেছেন মো. শরিফ। তবে একটি গরুও বিক্রি করতে পারেননি। ক্রেতারা ৮০-৯০ হাজার টাকা দাম বলছেন। কিন্তু ওই দামে তিনি কিনতেও পারেননি বলে জানান।

jagonews24

পাশে রইচ নামের একজন জানান, তিনি বাড়িতেই কোরবানির জন্য কয়েকটি গরু মোটাতাজ করেছেন। গরু লালন-পালনে যে পরিমাণ খরচ করেছেন তাতে ক্রেতারা যা দাম বলছেন তাতে তার লোকসান হবে।

ছাগলের হাট ঘুরে দেখা যায়, কিছু ছাগল ১৫-১৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিছু বিক্রি হয়েছে তারও কম দামে। তবে বড় ছাগল বিক্রি হয়নি একটিও।

ছাগল ব্যবসায়ী আনিসুল ইসলাম বলেন, তিনি ২০-২৭ হাজার টাকা করে কয়েকটি ছাগল কিনে হাটে নিয়ে এসেছিলেন। সঙ্গে রয়েছে পরিবহন ব্যয়। ক্রেতারা যে দাম বলছেন তাতে তার লোকসান হবে।

মির্জ্জা আনাস নামের একজন ক্রেতা জাগো নিউজকে বলেন, ‘গরুর সাইজের তুলনায় দাম একটু বেশিই মনে হচ্ছে। এজন্য আরও কয়েকটি হাট দেখবো।’

এদিকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের অভিযোগ, সরকার নির্ধারিত টাকার চেয়ে হাসিল বাবদ বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে। ক্রেতার কাছ থেকে ৬০০ ও বিক্রেতার কাছ থেকে ১০০ টাকা নেওয়ার পরিবর্তে ইচ্ছামাফিক হাসিল আদায় করা হচ্ছে।

৬২ হাজার টাকা দিয়ে একটি ছোট সাইজের গরুর ক্রেতা জানান, তাকে এক হাজার টাকা এবং বিক্রেতাকে ২০০ টাকা হাসিল দিতে হয়েছে। এটা অনেক বেশি।

jagonews24

অন্যান্য গরু ও ছাগল ব্যবসায়ী একই অভিযোগ করে বলেন, হাসিল বাবদ প্রায় দ্বিগুণ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

তবে হাটের ইজারাদার মোহাম্মাদ টিপু বলেন, হাসিল বেশি নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। তারা গরুপ্রতি ৮০০ টাকা করে হাসিল নিচ্ছেন।

নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শারমিন সুলতানা বলেন, পশুহাটে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মেশিন নিয়ে জালনোট শনাক্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনো পশু অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

রেজাউল করিম রেজা/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।