কোরবানির ঈদ এলেই মাংস কাটার খাইট্টা বানান জালাল
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে শরীয়তপুরের বিভিন্ন উপজেলায় খাইট্টা ব্যবসা জমে উঠেছে। মাংস কাটার খাইট্টা বানিয়ে ভেদরগঞ্জ বাজারে বিক্রি করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জালাল উদ্দিন। ৩০ বছর ধরে খাইট্টার ব্যবসা করে আসছেন তিনি। কোরবানির ঈদ এলেই ভেদরগঞ্জ বাজারেই তেঁতুল গাছের খাইট্টা তৈরি করেন তিনি। এর জন্য আছেন ছার শ্রমিকও। আবার সেখানেই বিক্রি করেন।

লোকজন কোরবানির মাংস কাটার জন্য খাইট্টা কিনতে ভিড় করছেন জালালের দোকানে। এবার সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা পর্যন্ত খাইট্টা বিকিকিনি হচ্ছে।
খাইট্টা কিনতে আশা ওয়াশিম সরদার বলেন, এবার খাইট্টা কিনতে এসেছি জালাল ভাইয়ের দোকানে। আগের বছরও তার দোকান থেকেই কিনেছি। দাম অতটা বেশি নেন না। দুটি খাইট্টা কিনলাম দেড় হাজার দিয়ে আরেক দোকানে এরকম খাইট্টার দাম ২ হাজার টাকা চেয়েছিল। জালাল ভাই ৩০ বছর ধরে এ ব্যবসা করেন। তিনি সৎ।
আরেকজন ক্রেতা মোহাম্মদ আলী বলেন, এবার কোরবানির জন্য দুটি গরু কিনেছি আমরা। তাই চারটা বড় খাইট্টা কিনতে এলাম। জালাল ভাই তেঁতুল গাছের খাইট্টা বিক্রি করেন। তাই এখান থেকে কিনলাম।

জালাল উদ্দিন বলেন, খাইট্টা বেচতে বেচতে জীবন পার করলাম। আমি ৩০ বছর ধরে খাইট্টা বিক্রি করি। এখানে যা উপার্জন হয়, তা দিয়ে বছরে একটা সময় আমি ভালো একটা লাভবান হই। আগে তেঁতুল গাছের অভাব ছিল না। এখন তেঁতুল খুঁজতে অনেক কষ্ট। আমি এবার নড়িয়ার গোলমাজ ও সখিপুর, মহিষার ও ভেদরগঞ্জের বিভিন্ন জায়গা খুঁজে ২০ হাজার টাকা দিয়ে চারটা তেঁতুল গাছ কিনেছি।
তিনি আরও বলেন, মানুষ এবার আগে থেকেই খাইট্টা কিনতে শুরু করেছেন। চারটি গাছ দিয়ে আমার এবার ছোট বড় দেড়শ খাইট্টা হয়েছে। আমি নিজের হাতে ও শ্রমিকদের নিয়ে খাইট্টা বানানোর কাজ করছি। এতে শ্রমিকদের মজুরি দিয়ে এবার আমার ২০ হাজার টাকা লাভ হবে।
এসজে/জিকেএস