শরীয়তপুর

লাল, সবুজ, হলুদ…। ড্রাগন ফলের এমন রঙিন বাহার যেন চোখকে আচ্ছন্ন করে। শরীয়তপুরের জাজিরায় এক তরুণের ছাদবাগানে গিয়েই মনে হতে পারে, আপনি বুঝি কোনো ফলের রাজ্যে ঢুকে পড়েছেন। ছবি: বিধান মজুমদার

যেন উৎসব নয়, রীতিমতো যুদ্ধের ময়দান! মাঠজুড়ে টানটান উত্তেজনা, চারপাশে দর্শকের করতালি আর উল্লাস। বিবাহিত ও অবিবাহিত দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে হাডুডুর মাঠ হয়ে উঠেছিল প্রাণের খেলা। হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে শরীয়তপুরের সুবেদার কান্দিতে আয়োজন করা হয় এ ব্যতিক্রমধর্মী ম্যাচ। জাতীয় খেলার প্রতি ভালোবাসা, গ্রামের প্রাণ, আর প্রজন্মের যোগসূত্র-সবকিছুর মিশেলে এ লড়াই হয়ে উঠেছিল স্মরণীয়। খেলোয়াড়দের ঘাম আর দর্শকদের কণ্ঠ মিলে যেন জানান দিচ্ছিল, মাটির গন্ধ মেখে আবারও জেগে উঠেছে গ্রামবাংলার হাডুডু। লেখা: জান্নাত শ্রাবণী; ছবি: বিধান মজুমদার অনি

‘স্যাঁকরার খুট খাট, কামারের এক ঘা’ বহুল প্রচলিত প্রবাদটি এখন আর তেমন শোনা যায় না। এক সময় কোরবানির ঈদকে ঘিরে কর্মচঞ্চলে মুখরিত থাকতো কামারপাড়া। তবে এখন সময় বদলেছে, নেই আগের মতো জৌলুস। বাজারে আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকায় শিল্পটি বিলুপ্তির পথে। ছবি: বিধান মজুমদার অনি

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে কত রকম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সেসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের আলোচিত ছবি।

খাঁচার মধ্যে কিলবিল করছে অসংখ্য ইঁদুর। দেখলে মনে হবে, এ যেন ইঁদুরের সাম্রাজ্য। ছবি: বিধান মজুমদার

শরীয়তপুরে কালোজিরার মধু আহরণ ও মৌবাক্সের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন খামারিরা। উদ্যোক্তারা বলছেন, মৌ খামারি ও কৃষি অধিদপ্তরের সমন্বয় ঘটানো গেলে জেলা থেকে ১০০ কোটি টাকার মধু আহরণ করা সম্ভব। ছবি: বিধান মজুমদার অনি

মসলা জাতীয় ফসল ধনিয়া চাষে শরীয়তপুরের সুনাম দীর্ঘদিনের। বাজারে ধনিয়ার কদর থাকায় কয়েক বছর ধরে জেলাজুড়ে বাড়ছে আবাদ। ছবি: বিধান মজুমদার অনি

পুরোনো একটি ময়লার ভাগাড় আর ঝোপঝাড় সরিয়ে শরীয়তপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে করা হয়েছে সূর্যমুখীর আবাদ। ছবি: জাগো নিউজ

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে কত রকম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সেসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের আলোচিত ছবি।

লাল, সাদা আর বাহারি রঙের পালকে ঢাকা মুরগিগুলোর শরীর। দেখলে মনে হবে, এ যেন চিত্রশিল্পীর আলপনা আঁকা। ছবি: বিধান মজুমদার

মাঝে মাঝে হাতে ক্যামেরা বা স্মার্টফোন থাকলে গ্রামবাংলার অপরূপ দৃশ্য বন্দি করা যায়। শখের বশেই দৃশ্যগুলো বন্দি করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী মাঈন উদ্দিন আহমেদ। প্রতিটি ছবির তিনি আলাদা নামও দিয়েছেন।

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে কত রকম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সেসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের আলোচিত ছবি।

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে কত রকম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সেসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের আলোচিত ছবি।

শরীয়তপুরের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ এখন কালোজিরার হালকা নীলাভ ফুলের দখলে। এই ফুলকে উপলক্ষ করে জমিগুলোর পাশেই বসানো হয়েছে সারি সারি মৌবাক্স।

একটা সময় দিন-রাত পালা করে কর্মব্যস্ততায় বিভোর থাকতো শরীয়তপুরের কাঁসা-পিতল শিল্পীরা। দূর থেকে কান পাতলে শোনা যেতো তাদের হাতুড়ির টুংটাং ধ্বনি। তবে দিন দিন কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন আধুনিক পণ্য বাজার দখল করায় ধ্বংসের মুখে শিল্পটি। 

বর্ণিল রঙের ফুলকপিগুলো দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, নামেও তাদের বাহার। পার্পেলটির নাম ‌‘ভ্যালেন্টিনা’ আর হলুদটির নাম ‘ক্যারোটিনা’। এ জাতের ফুলকপির বাজারে যেমন চাহিদা তেমন দামেও দ্বিগুণ। ভালো দাম পাওয়ায় ভ্যালেন্টিনা-ক্যারোটিনায় মজেছেন শরীয়তপুরের চাষিরা। বছর না ঘুরতে বাড়ছেও আবাদ।

চারদিকটা বেশ সাজানো গোছানো। মূল ফটক থেকে শুরু হয়ে ভেতরের ঢোকার রাস্তা পুরোটাই সেজেছে বাহারি রংয়ের গাঁদা ‍ফুলে। রঙিন হয়ে উঠেছে শরীয়তপুরের পুরো পুলিশ লাইন চত্বর। লাইনের বাইরে ও ভেতরে ফুলের এমন সৌন্দর্য মুগ্ধ করেছে দর্শনার্থীদের।

চোখের দৃষ্টি শুধুই হাতে রাখা সবজি কিংবা ফলের উপর। যেন এক মুহূর্তের জন্য, অন্য কোথাও তাকানোর নেই একদণ্ড সুযোগ। সূক্ষ্ম আর নিপুণ হাতে ছোট ছোট ছুরি কাচির সাহায্যে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিটরুটকে তৈরি করে ফেলা হলো আস্ত একটি গোলাপ। 

ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় শরীয়তপুরের জাজিরার মিরাশার চাষি বাজারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাইকারদের আনাগোনা। 

শরীয়তপুরে কনকনে ঠান্ডা আর জেঁকে বসা তীব্র  শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে মানুষের দৈনন্দিন কাজ। তবে এই তীব্র শীতকে উপেক্ষা করেই কাজে বের হয়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা।

ভোর হতেই খোলা মাঠে চৌকি পেতে ডালায় ইলিশের পসরা সাজিয়ে বসেন মাছ বিক্রেতারা। তার পাশেই বসে সবজি, খেলনা আর নানা খাবারের দোকান। কনকনে শীত উপেক্ষা করে ক্রেতা বিক্রেতার হাঁক-ডাকে জমে ওঠে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ। এদিন মেলায় আসা সবাই ঘরে ফেরেন জোড়া ইলিশ আর বেগুন নিয়ে।

ফুল আর লতা-পাতায় মোড়ানো একটি তিন তলা ভবনের ছাদ। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে এটি একটি পর্যটনকেন্দ্র বা রুফটপ রেস্টুরেন্ট। আসলে একটি পাঠাগার এটি। সেইসঙ্গে এতটাই সুন্দর করে এটি সাজানো হয়েছে যে, একটি দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে পাঠাগারটি। 

‘জলস্বপ্ন’ শরীয়তপুরের সদর উপজেলার আংগারিয়া বাইপাস সড়কের পাশে একটি লেকে খুঁটিতে বাঁধা ভাসমান রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টের পুরো নাম ‘সম্পা মেরিয়ট বার-বি-কিউ এন্ড ক্যাফেটেরিয়া জলস্বপ্ন’। 

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পূর্বনাওডোবা ইউনিয়নের জিরো পয়েন্টে পদ্মা নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করেছে। এরমধ্যে উকিল উদ্দিন মুন্সীরকান্দি গ্রামের ভাঙনের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। অনেক পরিবার ভাঙনের শিকার হয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।

শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা প্রান্তে পদ্মা সেতুর একাদশ স্প্যান বসানো হয়েছে। দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতুর কাজ। 

শরীয়তপুরে নড়িয়ার নদী ভাঙ্গন অব্যাহত আছে। তবে গত এক সপ্তাহ আগের চেয়ে ভাঙ্গনের তীব্রতা কিছুটা কমেছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার নড়িয়ার কেদারপুর, উত্তর কেদারপুর, শুভগ্রাম, বাঁশতলা ও নড়িয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের পূর্ব নড়িয়া গ্রামে ভাঙন হয়েছে।

কয়েক বছর ধরে পদ্মার ভাঙনে নড়িয়া উপজেলা শরীয়তপুরের মানচিত্র থেকে হারাতে বসেছে। এ বছর গত ৭ জুলাই থেকে নড়িয়া পৌরসভা এড়িয়া থেকে শুরু করে কেদারপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত ভাঙতে থাকে।

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবন বিলীন হয়েছে। তিন লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা অনিশ্চিত। পদ্মার ভাঙন সর্বগ্রাসী রূপ নিয়েছে।

দেড় মাসে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় সাড়ে তিন হাজার ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়েছে।

পানিতে ভাসমান বাঁশ দিয়ে তৈরি হয়েছে এ বাড়ি। এর নাম ‘স্বপ্নের বাড়ি’ রেখেছে প্রত্যন্ত চর অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষেরা। এটি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরভাগা ইউনিয়নে গেলে দেখা যাবে।