বগুড়ায় অটোরিকশা আটকের প্রতিবাদে চালকদের সড়ক অবরোধ
বগুড়া পৌর শহরে ছয়টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটকের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন চালকরা। এ সময় রাস্তায় কয়েকশ অটোরিকশা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখেন তারা।
রোববার (৯ জুলাই) দুপুর সোয়া ১টা থেকে পৌনে ২টা পর্যন্ত আধ ঘণ্টাব্যাপী সাতমাথা-তিনমাথা সড়কের ফলপট্টি স্ট্যান্ডে এ অবরোধ ও বিক্ষোভ করা হয়। ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে অটোরিকশা চালকরা মামলার নামে হয়রানি ও কারণ ছাড়াই আটক বন্ধের দাবি করেন।
খবর পেয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরফাত ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক সিএনজি ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলে চালকরা অবরোধ তুলে নেন। আধা ঘণ্টাব্যাপী চলা এ অবরোধে বগুড়া শহর জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন শহরমুখী মানুষরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুপুরে ট্রাফিক পুলিশের ইনস্পেক্টর মাহাবুবুল অবৈধ পার্কিংয়ের অভিযোগ এনে ফলপট্টি স্ট্যান্ড থেকে ছয়টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটক করেন। এ সময় মামলা থেকে বাঁচতে চালকরা অটোরিকশা রেখে পালিয়ে যান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করেন চালকরা।
অটোচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, পৌরসভা ইজারা দিয়ে এখানে সিএনজি স্ট্যান্ড বসিয়েছে। এ স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বগুড়া শহরে আসা যাওয়া করেন। ট্রাফিক পুলিশের ইচ্ছা হলেই এখানে এসে অটোরিকশা আটক করে নিয়ে গিয়ে মামলা দেয়। অল্প টাকার মামলা হলেও হতো। সিএনজির লাইসেন্স কাগজপত্র থাকার পরও ১৫-৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত মামলা দেওয়া হয়। এতগুলো টাকা আমাদের মাস গেলে আয়ও হয় না।
তার অভিযোগ, সড়কের ওপরে স্ট্যান্ড পৌরসভা বসিয়েছে। প্রতিদিন সিএনজি প্রতি ১০ টাকার টোলও নেয়। এখানে আমাদের কি দোষ?
বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু জাগো নিউজকে বলেন, রোববার দুপুরে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহাবুবুল কারণ ছাড়াই ছয়টি অটোরিকশা আটক করে নিয়ে যায়। প্রতিবাদে চালকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসে আটক অটোরিকশা ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। পুলিশ সন্ধ্যায় বৈঠকে বসতে চেয়েছে। আটক অটোরিকশা না ছাড়লে সাংগঠনিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বগুড়া ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মাহাবুবুল ইসলাম খান জাগো নিউজকে বলেন, অটোচালকরা সড়ক দখল করে ছিল। এছাড়া কোনো কাগজপত্র না থাকায় ছয়টি সিএনজি আটক করা হয়। সবকিছু আইনগতভাবেই হয়েছে। পৌরসভা সেখানে স্ট্যান্ড হিসেবে ইজারা দিয়ে থাকলেও নির্দিষ্ট জায়গায় অটোরিকশা থাকবে। চালকরা এক সড়কেই তিন থেকে চার লাইন বানিয়ে যানজট সৃষ্টি করে। তারা চায় তাদের বিরুদ্ধে যেন কোনো আইনি ব্যবস্থা না নেওয়া হয়।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, আটক অটোরিকশাগুলো ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। সন্ধ্যায় এ নিয়ে মোটর শ্রমিক নেতা ও চালকদের সঙ্গে বৈঠকে বসা হবে। প্রকৃত ঘটনা জেনে ব্যবস্থা নেবো।
এসজে/জিকেএস