পিরোজপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কার্যক্রম

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পিরোজপুর
প্রকাশিত: ০৬:১৫ পিএম, ১০ জুলাই ২০২৩

ঝুঁকি নিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে পিরোজপুরের বেশ কয়েকটি ভবনে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। শহরের পুরাতন ডিসি অফিস, পুলিশ লাইনসের কিছু ভবন ও হাসপাতালের মতো জনসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন কয়েক হাজার মানুষ।

শহরের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে পুরাতন ডিসি অফিস। পুরাতন ও স্থান সংকুলান না হওয়ায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু বর্তমানে এ ভবনে দুটি সরকারি অফিসসহ প্রায় সবগুলো কক্ষ ভাড়া দেওয়া রয়েছে। হাসপাতাল, পুলিশ লাইনসের মতো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনেও একই অবস্থা।

শহরের গোপাল কৃষ্ণ টাউন ক্লাব মার্কেট থেকে ৮ বছর আগে উত্তরা ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংক সরিয়ে নেওয়া হলেও এখনো চলছে ব্যবসা-বাণিজ্য ও দাপ্তরিক কার্যক্রম। ভাড়ার টাকা অগ্রিম জমা থাকায় মুখ খুলছেন না ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে চিকিৎসা সেবা 

jagonews24

গোপাল কৃষ্ণ টাউন ক্লাবের ব্যবসায়ী প্রশান্ত ঘরামি বলেন, এ মার্কেটে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ব্যবসা করছি। ৮ বছর আগে ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ায় দুটি ব্যাংক এখান থেকে চলে গেছে। কিন্তু আমরা ব্যবসা করছি। অনেক সমস্যার কারণে আমরা এখানে রয়ে গেছি। আমরা যেতে পারিনি। আতঙ্ক নিয়ে এখানে ব্যবসা পরিচালনা করছি।

মার্কেটের ক্রেতা সোহাগ হোসেন বলেন, ভবনটির বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক ফাটল ধরেছে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এখানে আমাদের আতঙ্ক নিয়েই থাকতে হয়।

পুরাতন ডিসি অফিসের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করেন আব্দুল আলীম। তিনি বলেন, অনেকটা নিরুপায় হয়ে আমরা পুরাতন ডিসি অফিসে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পরিচালনা করছি। কপালে যা আছে তাই হবে।

পিরোজপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম তৌহিদুল ইসলাম বলেন, যেগুলো মেরামতে ঝুঁকিমুক্ত করা সম্ভব সেগুলোর ব্যাপারে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। মেরামতের মাধ্যমে ঝুঁকিমুক্ত করা যায় কিনা দেখব। বাকি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে বিভিন্ন দপ্তর অপসারণের প্রক্রিয়া চলছে। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেঙে ফেলা হবে।

আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।