‘কথা রাখতে পারলে না, আমাকে একা করে চলে গেলে’

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জামালপুর
প্রকাশিত: ০৬:৩২ পিএম, ২০ জুলাই ২০২৩

‘আজ আমাদের ২৫তম বিবাহবার্ষিকী। কথা ছিল সুখে-দুঃখে পাশে থাকবে। কিন্তু আমাকে ছেড়ে বহু দূরে চলে গেছো তুমি। কথা রাখতে পারলে না; আমাকে একা করে চলে গেলে। ভালো থেকো তুমি। দেখা হবে শিগগির। আমিও আসবো পরের কোনো যাত্রায়।’

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিবাহবার্ষিকীতে স্বামীকে স্মরণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এমনি আবেগপূর্ণ পোস্ট দিয়েছেন নিহত সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম।

আরও পড়ুন: শুধু ঈদ নয়, ওরা আমাদের সব আনন্দ কেড়ে নিয়েছে

পরিবার সূত্র জানায়, ২৪ বছর আগে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের গুমেরচর এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে নাদিমের সঙ্গে বিয়ে হয় মনিরা বেগমের। তাদের তিন ছেলেমেয়ে রয়েছে। মেয়ে রাব্বিলাতুল জান্নাত অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। দুই ছেলের মধ্যে ডিগ্রিতে পড়ছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন রিফাত। ছোট ছেলে রিশাদ আব্দুল্লাহ প্রথম শ্রেণির ছাত্র।

‘কথা রাখতে পারলে না, আমাকে একা করে চলে গেলে’

সাংবাদিক নাদিমের মেয়ে রাব্বিলাতুল জান্নাত বলেন, ‘আজ আমার বাবা-মায়ের ২৫তম বিবাহবার্ষিকী। ক্লাসমেট ছিলেন তারা। নব্বই দশকের সেরা জুটি ছিলেন বাবা-মা। বর্তমান যুগে এরকম সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা প্রায় অসম্ভব। এই দিনে মাকে নিজের করে নিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! মাকে একা করে বাবা চলে গেলেন অজানার দেশে।’

‘কথা রাখতে পারলে না, আমাকে একা করে চলে গেলে’

আরও পড়ুন: সাংবাদিক নাদিম হত্যার দায় স্বীকার চেয়ারম্যান বাবুর

বাবাকে স্মরণ করে মেয়ে জান্নাত আরও বলেন, গতবছরও এইদিনে আব্বু মাকে বলেছিলেন—‘মনি, তোমার সঙ্গে আমি দুই যুগ কাটিয়ে দিলাম’।

সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে গত ১৪ জুন রাতে বকশীগঞ্জ বাজারের পাটহাটি এলাকায় বাবু চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার শিকার হন বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি ও জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি নাদিম। পরদিন বিকেল পৌনে ৩টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নাসিম উদ্দিন/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।