নিষেধাজ্ঞার পর উত্তাল সাগর
সময় শেষ হলেও বরাদ্দের পুরো চাল না পেয়ে বিপাকে জেলেরা
সাগরে মাছ শিকারে ছিল ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এ সময় তালিকাভুক্ত প্রত্যেক জেলের জন্য ভিজিএফের মাধ্যমে ৮৬ কেজি করে চাল বরাদ্দ করে সরকার। কিন্তু ১২ দিন আগে নিষেধাজ্ঞা উঠলেও বরাদ্দের সব চাল পায়নি জেলে পরিবারগুলো। প্রথম কিস্তিতে ৫৬ কেজি চাল পেলেও বাকিগুলো এখনো দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।
এদিকে অবরোধ শেষ হলেও সাগরে উত্তাল এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে এখনো পুরোদমে মাছ শিকার করতে পারছেন না উপকূলীয় এলাকার লক্ষাধিক জেলে। সাগরে গেলেও অল্প সময়ের মধ্যে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন তারা। ফলে মাছ না পেয়ে তারা হতাশা প্রকাশ করেন। নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারি বরাদ্দের বাকি চালগুলো পেলেও কোনোরকম দিনযাপন করতে পারতেন বলে দাবি জেলেদের।

জানা যায়, দেশের সমুদ্র সীমানায় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও মজুত সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০ মে থেকে শুরু হয় মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এ সময় যাতে জেলেরা মাছ শিকার করতে না পারেন এজন্য ছিল আইনের কঠোর প্রয়োগ। এবার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করায় বেশ কিছু ট্রলার মালিক ও জেলেদের আর্থিক জরিমানা করেছে মৎস্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্টরা।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আলীপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও লতাচাপলি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লা জাগো নিউজকে বলেন, এরই মধ্যে আমরা জেলেদের ৫৬ কেজি চাল বিতরণ করেছি। তবে চালগুলো একসঙ্গে দিলে ভালো হয়। এছাড়া এখনো বাকি চাল দেওয়া যায়নি। তবে অবরোধকালে জেলেদের এ সহযোগিতা দেওয়া গেলে তাদের উপকারে আসতো। সরকারের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, মূলত অর্থবছরের জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময় চাল বিতরণ সম্ভব হয়নি। যেহেতু ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৫৬ কেজি এবং ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বাকি চাল দেওয়ার জন্য ডিও লেটার দেওয়া হয়েছে। তবে কীভাবে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সব চাল বিতরণ সম্ভব হয়, সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে কাজ করার প্রস্তাব রাখবো।
এ বিষয়ে পটুয়াখালীর নবাগত জেলা প্রশাসক মো. নুর কুতুবুল আলম জাগো নিউজকে বলেন , আমি পটুয়াখালী জেলায় নতুন যোগ দিয়েছি। আগামী বছর থেকে যাতে নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের জন্য বরাদ্দ পাওয়া সহযোগিতা বিতরণ করা যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আব্দুস সালাম আরিফ/এসজে/জিকেএস