তালাক দেওয়ায় কুপিয়ে হত্যা, সাবেক স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ০৪:০২ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় তালাক দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে সাবেক স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে রাসেল মিয়া (৪৩) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার এই দণ্ডাদেশ দেন। পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাসেল কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের বিষ্ণুপুরের আবু তাহেরের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনি পলাতক আছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম রায়ের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে কুটি ইউনিয়নের রামপুরের কুদ্দুস মিয়ার ছোট মেয়ে সুমা আক্তারের (২৫) সঙ্গে রাসেল মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে এক লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল ও এক ভরি ওজনের সোনার চেইন দেওয়া হয়। এরপরও রাসেল বিভিন্ন সময় সুমাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে চাপ দিতেন।

এ নিয়ে সংসারে অশান্তি দেখা দিলে একপর্যায়ে সুমা বাবার বাড়িতে চলে যান। ২০১৫ সালের ৩১ মে রাসেলকে তালাক দেন সুমা। এরপর থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন রাসেল। ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাসেল এলোপাতাড়ি কুপিয়ে সুমাকে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যান। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সুমাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তবে মৃত্যুর আগে সুমা হামলাকারী হিসেবে রাসেলের নাম বলে যান।

ঘটনার পরদিন সুমার বাবা বাদী হয়ে কসবা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বেলাল হোসেন একই বছরের ডিসেম্বরে রাসেলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সুমা তালাক দেওয়া ক্ষুব্ধ হয়ে রাসেল তাকে হত্যা করেন।

সব সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে সোমবার আদালত রাসেলকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তবে হত্যাকাণ্ডের পর থেকে রাসেল পলাতক থাকায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছাড়া আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এমআরআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।