নকল সোনার বার দিয়ে প্রতারণা, নারীসহ গ্রেফতার ৩
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার বেকের বাজার এলাকায় অভিনব কায়দায় নকল সোনার বার দিয়ে প্রতারণাকালে নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ একটি নকল সোনার বার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করেছে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে প্রতারণার মামলা দিয়ে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
দাগনভূঞা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রাসেল মিয়া জাগো নিউজকে জানান, প্রতারকদের ধরতে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে ছদ্মবেশে ফাঁদ পাতে পুলিশ। এ সময় প্রতারকদের একজন নোয়াখালীর সেনবাগ থানার ইয়ারপুর গ্রামের ইমন আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩২) সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক সেজে সিএনজিটি চালাচ্ছিলেন। পেছনে যাত্রীবেশে বসেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার জাহাঙ্গীরের ছেলে মোহাম্মদ মিলন (৩২) ও চট্টগ্রাম সন্দীপ উপজেলার মাইটভাঙ্গা গ্রামের ইলিয়াস সওদাগর মেয়ে রাশেদা আক্তার (২৭)। ছদ্মবেশে তাদের সঙ্গে যোগ দেন এক পুলিশ সদস্য।
তারা পুলিশ সদস্যকে অটোরিকশার মাঝের সিটে বসান। এরপর সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক যাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি অশিক্ষিত মানুষ কাগজে মোড়ানো এক টুকরো সোনা আছে আপনারা কি দেখবেন? যাত্রীরা দেখেন কাগজের টুকরো লেখা আছে এ সোনা দিয়ে একটি কাকন ও নাকের ফুল ও কানের দুল বানানোর জন্য স্বর্ণকার কাছে নিয়ে যান। প্রতারক সদস্যদের একজন বলেন। এটা তো সত্যিকারের সোনা আমার কাছে টাকা থাকলে নিয়ে নিতাম। অপরজন বলেন, এটা তো আসলেই সোনা আপনি নিয়ে নেন। এ বলে ছদ্মবেশে থাকা পুলিশ সদস্যকে প্রলব্ধ করতে প্রতারণার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ হাতেনাতে প্রতারকদের গ্রেফতার করে এবং তাদের সঙ্গে থাকা নকল সোনার বারটি উদ্ধার করেন। পরে এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে প্রতারকদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/এমএএইচ/