পানির সঙ্গে যমুনায় বাড়ছে ভাঙনও
যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ফের বাড়তে শুরু করেছে। এতে জেলার চৌহালী, এনায়েতপুর ও শাহজাদপুরে নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে পানি বাড়লেও বন্যার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার জাগো নিউজকে জানান, ভারী বৃষ্টির কারণে যমুনায় পানি বেড়ে নিম্নভূমিগুলো প্লাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। আরও দুই থেকে তিনদিন পানি বাড়লেও বন্যার আশঙ্কা নেই।

আরও পড়ুন: বাড়ছে যমুনা-ধলেশ্বরী-ঝিনাই নদীর পানি, থামছে না ভাঙন
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৬১ মিটার। যা ২৪ ঘণ্টায় ১৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে কাজীপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৩৭ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ২৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে যমুনায় পানি বাড়ায় শাহজাদপুর উপজেলার খুকনি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম ও আরকান্দি গ্রামের অন্তত ২০টি বসতবাড়ি পানিতে ডুরে গেছে। এসব বাড়িঘরের মানুষ উঁচু চৌকিতে শিশুদের নিয়ে বসবাস করছেন। এছাড়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের অধিকাংশ নিচু গ্রামগুলি বন্যার পানিতে ভাসছে। অনেক রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। এতে দুর্ভোগ পেহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।

সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সি জাগো নিউজকে জানান, পানি বাড়ায় গত কয়েকদিনে এ ইউনিয়নের হাটবয়রা, ছোট কয়রা, দোগাছি ও কাওয়াকোলা গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে প্রায় শতাধিক বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, বন্যা ও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা পাওয়ার পর ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হবে।
এম এ মালেক/আরএইচ/এমএস