বস্তায় আদা চাষ, তাক লাগালেন আব্দুল মজিদ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করে পেশা হিসেবে কৃষিকে বেছে নেন আব্দুল মজিদ (৬৭)। তিনি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের বয়ড়া গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা।
সম্প্রতি বাড়ির আঙিনা ও আশেপাশে ৩ বিঘা পতিত জমিতে ১৪ হাজার প্লাস্টিকের বস্তায় মাটি ভরে আদা চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: দেড় হাজার কৃষকের ভরসা ভ্রাম্যমাণ সোলার পাম্প
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল মজিদ এমন একজন মানুষ যার কাছে সঠিক পরামর্শের জন্য গেলে কখনও ফিরে আসতে হয়নি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করলেও কৃষিকেই তার পছন্দ হিসেবে বেছে নেন। সফলতাও পেয়েছেন। বর্তমানে সরিষাবাড়ীকে একটি কৃষি নির্ভর উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে নতুন নতুন চাষাবাদে অনুপ্রাণিত করছেন যুব সমাজকে।
আব্দুল মজিদ বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই আমার পছন্দের তালিকায় ছিল কৃষিকাজ। যেকোনো কৃষি খামার দেখলেই আমি সেখানে আটকে যেতাম। সরিষাবাড়ীতে বর্তমানে ব্যাপক ভুট্টা আবাদ হচ্ছে, এটির প্রথম চাষাবাদ আমিই শুরু করেছিলাম। এছাড়াও হাইব্রিড জাতের গোল আলু, কলা চাষ করেও সফলতা পেয়েছি। এজন্য আমাকে নানা প্রতিকূলতা পার হতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নতুন নতুন চাষাবাদ সবসময় আমাকে অনুপ্রাণিত করে। তাই কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রথমবারের মতো বারি-১ জাতের আদার চাষাবাদ শুরু করি। এই উপজেলায় আমিই প্রথম। আদা আবাদে কোনো ধরনের রাসায়নিক সার ব্যবহার করিনি। বাড়ির তৈরি ভার্মি-কম্পোস্ট ব্যবহারে আদার গাছগুলো ভালোভাবে বেড়ে উঠেছে। প্রতি ব্যাগে ২৯ টাকা করে প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে, প্রতি ব্যাগে ২ কেজিরও বেশি আদার ফলন পাওয়ার আশা করছি।
আরও পড়ুন: পড়াশোনার পাশাপাশি ড্রাগন চাষে সফল তানভীর
সরিষাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনুপ সিংহ জাগো নিউজকে বলেন, আবদুল মজিদই প্রথম যিনি ব্যাগে আদার চাষ শুরু করেছেন। এরই মধ্যে তার আদা চাষের জমি পরিদর্শন করেছি। এছাড়াও কৃষি অফিস থেকে সর্বদা পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি সঠিক দিকনির্দেশনা ও অন্য কৃষকদেরও এ বিষয়ে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
মো. নাসিম উদ্দিন/জেএস/জিকেএস