বগুড়া আইএইচটি শিক্ষার্থীদের ফের সড়ক অবরোধ
বগুড়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতা সজল ঘোষের নামে মামলা না নেওয়ার অভিযোগে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) শিক্ষার্থীরা ফের সড়ক অবরোধ করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের সামনে শহরের সাতমাথা-বনানী সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ ও স্বাধীনতা চিকিৎসক ফোরাম বগুড়ার সভাপতি ডা. সামির মিশু ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনেন।
জিল্লুর রহমান নামে দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, সকাল থেকেই বগুড়ার জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারক লিপি দেওয়া হয়। সেখানে ছাত্রলীগ নেতা সজল ঘোষকে গ্রেফতার, অধ্যক্ষ ডা. আমায়াত উল হাছিনকে প্রত্যাহার ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তিন দফা দাবি জানানো হয়। এরপরেই সজল ঘোষের বিরুদ্ধে মামলার জন্য বগুড়া সদর থানায় যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে মামলার বাদী হওয়া নিয়ে জটিলতা দেখা যায়৷ একপর্যায়ে মামলা লেখার জন্য থানার কম্পিউটার অপারেটরের কাছে গেলে তিনি দুর্ব্যবহার করেন। এতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করেন। আমরা চাই তিনদফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক। তাছাড়া আন্দোলন চলমান থাকবে৷
ঘটনার পর বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশিস পোদ্দার লিটন ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু বগুড়া আইএইচটিতে আসেন। তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন।
বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশিস পোদ্দার লিটন বলেন, শিক্ষার্থীদের সব দাবি যৌক্তিক। তাদের দাবির সঙ্গে আমরাও একমত৷ এ নিয়ে চিকিৎসক নেতাদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আপাতত ছাত্রাবাসে ফিরে যাবেন। দ্রুত তাদের দাবি বাস্তবায়ন করা হবে৷
মুশফিকুর রহিম নামে দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রশাসন ও যুবলীগের নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সবাই এখন ছাত্রাবাসে ফিরে যাবেন। তবে দাবি না মানা হলে ফের আন্দোলন হবে।
বগুড়া সদর থানা পুলিশের ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, শিক্ষার্থীরা মামলা দিতে এসেছিলেন। তাদের দাবি ছিল সব শিক্ষার্থীই মামলায় বাদী হবেন। আইনে এর সুযোগ নেই। তারপরও বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছিল। এর মাঝে তারা গিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এছাড়াও খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগ সঠিক নয়৷
স্বাধীনতা চিকিৎসা ফোরাম বগুড়ার সভাপতি ডা. সামির হোসেন মিশু বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে আলোচনা চলছে৷ সব দাবিই মেনে নেওয়া হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে আইএচটি শিক্ষার্থীরা বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সজল ঘোষের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন, হলে সিট বাণিজ্য, পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য অর্থ আদায়সহ নানা অভিযোগ এনে আন্দোলন শুরু করেন।
জেএইচ