মামার মোটরসাইকেলে করে বিদ্যালয়ে যাওয়া হলো না ভাগনির

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি দিনাজপুর (হিলি)
প্রকাশিত: ০১:৩২ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ফাইল ছবি

মামার মোটরসাইকেলে করে বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় মেসিগাড়ির নিচে চাপাপড়ে জান্নাতুন নাঈমা (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় শিশুটির মামা মনিরুজ্জামান (৩০) গুরুত্বর আহত হয়েছেন।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া বাজারের পূর্বপাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জান্নাতুন নাঈমা বিরামপুর উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের বেলখুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের মেয়ে। সে হাকিমপুর উপজেলার পাউশগাড়া ফাজিল মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আহত মামা মনিরুজ্জামান একই এলাকার শফিক উদ্দিনের ছেলে।

বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা শাহারিয়ার পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পেয়ে জান্নাতুন নাঈমা নামে একটি শিশু মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় শিশুটির মামাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ধাক্কায় ছিটকে পড়ার পর মোটরসাইকেল চালককে পিষে গেলো বাস

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে প্রতিদিনের মতো মামার মোটরসাইকেলে করে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল জান্নাতুন। পথে ডাঙ্গাপাড়া বাজারের পূর্বপাশে একটি মেসিগাড়িকে পাশকাটার সময় বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কালেগে রাস্তায় পড়ে যায়। এসময় পেছন থেকে মেসিগাড়িটির চাকায় নিচে পড়ে শিশুটির মাথা থেঁতলে যায়। স্থানীয়রা গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহারিয়ার পারভেজ শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত মামাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

বিরামপুর থানাপুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল ইসলাম জানান, যেহেতু ঘটনাটি হাকিমপুর উপজেলায়। আমরা হাকিমপুর থানা পুলিশের মাধ্যমে নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের কোনো অভিযোগ না থাকায় নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

মো.মাহাবুর রহমান/জেএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।