আইসক্রিমে ক্ষতিকর রং, জরিমানা অর্ধলাখ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বাগেরহাট
প্রকাশিত: ০৪:৩২ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাগেরহাটে ভেজাল আইসক্রিম তৈরি ও বাজারজাত করার অপরাধে তাছলিমা বেগম নামে এক ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় ফ্রিজে থাকা বিপুল পরিমাণ আইসক্রিম ও পেপসি গাড়ির চাপায় পিষ্ট করে ধ্বংস করা হয়।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের নাগের বাজার এলাকায় ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। বাগেরহাটের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান এই জরিমানার আদেশ দেন। একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন না নেওয়া পর্যন্ত কারখানাটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

Fine2.jpg

আরও পড়ুন: ৯১ টাকার স্যালাইন ২০০, দুই ফার্মেসিকে জরিমানা

সরেজমিনে দেখা যায়, বাগেরহাট শহরের স্টেডিয়ামের পেছনে একটি টিন সেড ঘরে অবস্থিত কারখানাটির কোনো নাম নেই। ভেতরে কয়েকটি ফ্রিজ, পানির ট্যাংকি ও বেশকিছু মেশিনারিজ। পানির ট্যাংকিতে ময়লাযুক্ত পানি। এখান থেকেই প্রতিদিন ভোরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্যান ও অন্যান্য গাড়িতে করে আইসক্রিম পাঠানো হয়। ওই ঘর থেকে কিছুদূরে জালঘর নামের আরেকটি ঘরে বিপুল পরিমাণ আইসক্রিম থাকলেও, ব্যবসায়ী তাছলিমা বেগম ওই ঘরের তালা খুলতে রাজি হননি। পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তালা ভেঙ্গে সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ আইসক্রিম জব্দ করে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, কারখানাটির কোনো অনুমোদন নেই। তাদের উৎপাদিত আইসক্রিম ও ললি আইসক্রিমে কোনো উৎপাদন ও মেয়াদউত্তীর্ণের তারিখ ছিল না। ক্ষতিকর রং দিয়ে তারা আইসক্রিম তৈরি করত, যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এসব অপরাধের কারণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে তাছলিমা বেগমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে অনুমতি নেওয়ার আগ পর্যন্ত তার এ কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জেএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।