জামালপুরে হয়ে গেলো নৌকাবাইচ, দেখলো হাজারো মানুষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জামালপুর
প্রকাশিত: ০৬:০৬ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জামালপুরের সরিষাবাড়ীর বুক চিরে বইয়ে চলেছে ঝিনাই নদী। আর এ নদীতে তিন দিনব্যাপী নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চরবালিয়া ব্রিজপাড় সংলগ্ন নদীতে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব হয়েছে। এ পর্বে বাংলার সম্রাট, রকেট এবং একতা নামে তিনটি নৌকা অংশ নেয়। নৌকাবাইচ দেখতে নদীর দুপাড়ে হাজারো নারী পুরুষের সমাগম ঘটে।

স্থানীয় ও আয়োজক কমিটি সূত্র জানায়, প্রতিবছরের ন্যায় উপজেলার চরবালিয়া যুব সমাজ ও বলারদিয়ার যুব সমাজের উদ্যোগে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়। প্রথমদিন ১১টি নৌকা অংশ নেয়। এর মধ্যে থেকে বাছাই করে তিনটি নৌকাকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য মনোনীত করা হয়। নৌকাবাইচ দেখতে সকাল থেকে দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো মানুষ এসে নদীর দুপাড়ে ভিড় করেন। চূড়ান্ত পর্ব শেষে চ্যাম্পিয়ন পেয়েছে মোটরসাইকেল, দ্বিতীয় স্থান অধিকারীরা পেয়েছে একটি ষাঁড় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীরা পেয়েছে এলইডি টিভি।

জামালপুরে হয়ে গেলো নৌকাবাইচ, দেখলো হাজারো মানুষ

৮৮ বছরের বৃদ্ধ মজিবুর রহমানও এসেছেন খেলা দেখতে। প্রতিবছরই এ সময় তিনি এখানে আসেন। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, বাপ-দাদারা বেঁচে থাকতে আমাদেরও বাইচের নৌকা ছিল। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন। তাই যেখানেই নৌকাবাইচের কথা শুনি সেখানেই ছুটে যাই।

জামালপুরে হয়ে গেলো নৌকাবাইচ, দেখলো হাজারো মানুষ

পাশে দাঁড়িয়ে মজিবুরের কথা শুনছিলেন তার দুলাভাই ৯০ বছরের বৃদ্ধ মকছেদ আলী। তিনি হেসে হেসে বলেন, নৌকাবাইচ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। এ প্রতিযোগিতা দেখতে ভালো লাগে। তাই শ্যালক মজিবুরের সঙ্গে দুদিন ধরে নৌকাবাইচ দেখছি। আজ ফাইনাল দেখতে এসেছি।

আয়োজক কমিটির সদস্য ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন জাগো নিউজকে বলেন, নৌকাবাইচ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। এ খেলা একসময় গ্রামের আনাচে-কানাচে দেখা গেলেও এখন চোখে পড়ে না। তবে আমরা চিন্তা করেছি ঝিনাই নদীতে প্রতিবছরই এ খেলার আয়োজন করবো। যাতে বছরের একটা দিন অন্তত এ অঞ্চলের মানুষ আনন্দ উপভোগ করতে পারেন।

মো. নাসিম উদ্দিন/এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।