মুখ চেপে প্রহার, শরীরে ব্যাটারির পানি ঢেলে শিশু হাবিবাকে হত্যা

শিশু নুসরাত জাহান হাবিবাকে (৪) হত্যার উদ্দেশ্যে প্রথমে অপহরণ করা হয়। এরপর মুখ চেপে ধরে নির্মমভাবে প্রহার করলে নিস্তেজ হয়ে পড়ে হাবিবা। পরবর্তীতে শরীরে ব্যাটারির পানি ফেলে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। মরদেহ পুকুরে ফেলে কচুরিপানায় ঢেকে দেওয়া হয়।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে চাঞ্চল্যকর নুসরাত জাহান হাবিবা হত্যার রহস্য জানাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা বর্ণনা করেন র্যাব-১৪ এর কোম্পানি কমান্ডার আশিক উজ্জামান।
হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আবুল কাসেম কুড়িগ্রামের দুশমারা উপজেলার নয়ারচর গোয়ানপাড়া এলাকার মৃত হাফেজ শেখের ছেলে এবং সবুজ মিয়া জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কদমতলা (দানগড়া) এলাকার কাসেম মিয়ার ছেলে।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, ৯ সেপ্টেম্বর সকালে বাবা আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে বাড়ি থেকে একটু দূরে দোকানে যায় হাবিবা। দোকান থেকে মেয়েকে শিঙাড়া কিনে দিয়ে আশরাফুল কাজের উদ্দেশ্যে চলে যান। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। ১০ সেপ্টেম্বর পরিবারের লোকজন থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে পুলিশ নিহতের বাড়ির পাশের বাঁশঝাড় থেকে শিশু হাবিবার মরদেহ উদ্ধার করে।
১২ সেপ্টেম্বর মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে দেওয়ানগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এর ছয়দিন পর ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে র্যাবের একটি অভিযানিক দল কুড়িগ্রামের রাজিবপুর থেকে প্রথমে সবুজ মিয়াকে গ্রেফতার করে এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দিনগত রাতে জেলার দুশমারা থানা থেকে আবুল কাসেমকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, পারিবারিক বিরোধের জেরে শিশু হাবিবাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা। এরইমধ্যে অভিযুক্তদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মো. নাসিম উদ্দিন/এসজে/জিকেএস